শোলার ফুল বানাতে ব্যস্ত শীতলকুচির খারিজা ধাপেরচাত্রার ১৫টি পরিবার
বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, শীতলকুচি: দুর্গাপুজোর আর ক’দিন বাকি। তাই শোলার ফুল তৈরিতে ব্যস্ত শীতলকুচির শোলা শিল্পীরা। গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের খারিজা ধাপেরচাত্রা গ্রামের ১৫টি পরিবার শোলার ফুল তৈরি করে থাকেন। এ সময় শোলার ফুলের চাহিদা থাকায় কৃষিকাজের পাশাপাশি বাড়তি লাভের আশায় বাড়িতে শোলার ফুল তৈরি করেন তাঁরা। বাড়ির বধূ থেকে গৃহকর্তা সকলেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
শোলা শিল্পীরা জানান, পরিস্থিতি বদলালেও বংশ পরম্পরায় আজও এই শিল্প টিকিয়ে রেখেছেন তাঁরা। প্রত্যেকদিন একএকজন প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার শোলার কদম ফুল তৈরি করে থাকেন। বাজারে থার্মোকলের তৈরি ফুল আসায় শোলার ফুলকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। বাজারে টিকে থাকতে মুনাফার হার অনেকটাই কম করতে হয়েছে তাই।
পাইকারি দরে হাজার প্রতি ১২০০-২০০০ টাকা বিক্রি হয় শোলার ফুল। এছাড়া স্থানীয় বাজারে ৩০-৫০ টাকা ডজন বিক্রি হয়। অন্যদিকে, থার্মোকলের ফুল পাওয়া যায় অর্ধেকের একটু বেশি দামে। তবে শোলার ফুল কিনতেই গৃহস্থরা বেশি ঝোঁকেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই পাইকাররা ফুল নিয়ে যাবেন। স্থানভেদে নবমী বা দশমীতে বহু হিন্দু পরিবারে বাড়ির দরজার সামনে শোলার ফুল ঝোলানোর রীতি রয়েছে।
খারিজা ধাপেরচাত্রা গ্রামের মনোজ বর্মন, শিশুবালা বর্মন, রমেশচন্দ্র বর্মনরা এখন সকাল থেকে দুপুর গড়িতে রাত পর্যন্ত শোলার ফুল তৈরির করছেন। শোলার ফুল তৈরির আরএক কারিগর মনোজ বর্মন বলেন, চান্দামারী, পাটকামারি থেকে শোলা কিনে এনেছি। দুর্গাপুজোর দেড় মাস আগে থেকে বাড়িতেই শোলার ফুল তৈরি করছি। যেহেতু পুজো এসে গিয়েছে তাই এখন দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। আগে বাড়ির পাশেই পুকুরে শোলা চাষ হলেও এখন তা হয় না। তাই বাইরে থেকে শোলা কিনে এনে ফুল বানিয়ে বিক্রি করতে খরচ বাড়লেও থার্মোকলের থেকে শোলার ফুলের চাহিদা বেশি থাকায় পুষিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।