• নদীয়ায় এসএসসি-তে দু’ দফায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৩৬ হাজার
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: নদীয়া জেলার ৫৯টি ভেন্যুতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) পরীক্ষা দিতে চলেছেন মোট ৩৬ হাজার ৫২৪ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিস কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার লক্ষ্যে প্রশাসনিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। 

    পরীক্ষা দু’ দফায় হবে। প্রথম দফার পরীক্ষা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার। সেদিন নবম ও দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষায় জেলার ৩৩টি ভেন্যুতে মোট ২০ হাজার ৬৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা হবে ১৪ সেপ্টেম্বর, রবিবার। সেদিন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ২৬টি ভেন্যুতে মোট ১৫ হাজার ৮৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। সব মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫২৪ জন।

    পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসনের অন্দরে উচ্চ পর্যায়ের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান বৈঠকে পরীক্ষার যাবতীয় নির্দেশিকা ব্যাখ্যা করেন। মোবাইল ফোন, স্মার্ট ঘড়ি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রতিটি কেন্দ্রে ফ্রিস্কিং-এর বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য ক্লোক রুমের ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে মোবাইল, স্মার্ট ঘড়ি এবং অন্যান্য গ্যাজেট জমা রাখা যাবে। প্রতিটি জিনিসপত্র জমা দেওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের একটি টোকেন দেওয়া হবে, যাতে পরীক্ষার পর সহজে নিজের জিনিস ফেরত নেওয়া যায়। ক্লোক রুম পরিচালনার জন্য কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফ্রিস্কিং-এর সময় পুরুষ ও মহিলা পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা লাইন রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে পুলিস প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে।

    প্রশ্নপত্র ও অন্যান্য গোপন নথি ট্রেজারি অফিস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ রুট ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি রুটের জন্য পৃথক তত্ত্বাবধায়ক অফিসার নিয়োগ করা হবে। সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করা হবে যাতে সব পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র একই সময়ে পৌঁছয় এবং কোনও কেন্দ্রে সময়ের ব্যবধান খুব বেশি না হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক অটো ও টোটোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পরিবহণ দপ্তরকে পর্যাপ্ত সংখ্যক গণ পরিবহণের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে, যাতে পরীক্ষার্থীরা সহজে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন। পরীক্ষার দিন জেলাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন এবং পুলিসের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের বিশেষ দায়িত্বে রাখা হবে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিটি কেন্দ্রের আশেপাশে কড়া নজরদারি চলবে।

    নদীয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) ইজাজ আহমেদ বলেন, পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা এবং প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, তা নিশ্চিত করতেই আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
  • Link to this news (বর্তমান)