নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: নবাবি মুলক মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুরে ছুটির দিনে পুজোর বাজারে মেতে উঠলেন আট থেকে আশি। দুপুর থেকেই শহরে কেনাকাটার জন্য মানুষের ঢল নামে। বড় দোকান থেকে শপিংমল সর্বত্রই বেশ ভালো ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বিকেলের পর থেকে খাগড়া ও নতুনবাজার এলাকায় ছোটখাট সমস্ত দোকানেই ভিড় জমে। ছুটির দিনে জঙ্গিপুর, কান্দি, ডোমকল ও লালবাগ মহকুমাতেও বাজারে ভালো ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। নবি দিবস উপলক্ষ্যে এদিন সরকারি ছুটি ছিল। দু’-একটি শপিংমলে এত ভিড় হয় যে মানুষজনকে রীতিমতো লাইন দিয়ে ঢুকতে হয়। বহরমপুরের নেতাজি রোডের একটি শপিংমলে দুপুরের পর থেকে ব্যাগ রাখার কাউন্টারে জায়গা ছিল না। দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে মানুষজন বিল পেমেন্ট করেন। নতুনবাজারের আরও একটি বস্ত্র বিপণীতে জামাকাপড় কেনার জন্য মানুষজন হুড়োহুড়ি শুরু করেন। পাশাপাশি জুতো এবং প্রসাধনীর দোকানেও এদিন বাড়তি ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। বহরমপুরের বাসিন্দা সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন অফিস ছুটি ছিল। তাই সকাল সকাল বাজারে বেরিয়েছিলাম। সপরিবারে পছন্দ করে পুজোর জামাকাপড় কিনলাম। দুপুরের মধ্যে দোকানে যাওয়ায় খুব ভিড় হওয়ার আগেই আমাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যায়। বেলডাঙার বাসিন্দা প্রভাস ঘোষ বলেন, শনি ও রবিবার বাজারে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। ছুটি থাকায় আজ এসেছি। এদিনও দেখছি প্রচুর ভিড়। ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রীর জন্য কিছু কেনাকাটা করলাম। এরপর যা অল্প কিছু কেনাকাটার দরকার হবে তা স্থানীয় বাজার থেকেই করব। দৌলতাবাদের বাসিন্দা ছন্দা ঘোষ বলেন, দুপুরের দিকে আকাশে একটু মেঘ করেছিল। বৃষ্টি হয় কিনা দেখে নিয়ে বিকেলের দিকে বাজারে এসেছি। এত ভিড় হবে বুঝতে পারিনি। তবে সন্ধ্যার মধ্যে বাজারে ঘুরে ছেলেমেয়েদের জন্য জামা, প্যান্ট, স্কার্ট, কুর্তি, টপ সমস্ত জিনিসপত্র কিনতে পেরেছি। বহরমপুরের এক শপিং মলের বিলিং কাউন্টারে থাকা কর্মী অভিজিৎ দাস বলেন, ২টোর পর থেকে কাউন্টারে ভালো ভিড় হতে শুরু করে। বিকেলের দিকে আমাদের এখানকার প্রতিটি কাউন্টারে আট-দশজনের লাইন লেগেই ছিল। রাত পর্যন্ত বাজারে ভালো ভিড় হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় মানুষজন ভালোভাবে কেনাকাটা করেছেন।