• বহরমপুর পশ্চিম চক্রের স্কুলগুলিতে অন্যরকম শিক্ষকদিবস পালিত, শিক্ষকের ভূমিকায় পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: জুঁই সরকার, কুশল দে, অহনা সরকার, রনিতা ঘোষ। এদের কেউ পঞ্চম, কেউ চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। শিক্ষকের ভুমিকায় চক ডাস্টার নিয়ে সগপাঠীদের পড়াল। জুঁই, অহনা, রনিতাদের পরনে ছিল না স্কুল ইউনিফর্ম। বৃহস্পতিবার তারা হয়ে উঠেছিল শাড়িপরা স্কুল দিদিমনি। সমবয়সীদের পড়াতে রীতিমতো হোমওয়ার্ক করেই এসেছিল ওরা। বহরমপুর সদর পশ্চিম চক্রের একাধিক স্কুলে একদিন আগে এভাবেই পালিত হল শিক্ষকদিবস। বহরমপুর সদর পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভাশিস দে বলেন, পড়াতে গেলে নিজে পড়তে হয়। কাউকে বোঝাতে গেলে আগে নিজেকে সেই বিষয়ে বুঝতে হয়। আজ যারা শিক্ষকের ভুমিকায় যে বিষয়ে পড়িয়েছে, সেটা তাদের মনে গেঁথে থাকল। এই পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের স্কিল বাড়বে।

    বিশ্বের বহু দেশে শিক্ষক দিবস পালিত হয়। ভারতে ১৯৬২ সাল থেকে ৫ সেপ্টেম্বর সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনকে সামনে রেখে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। ৫ সেপ্টেম্বর মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই একদিন আগে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক দিবস অনুষ্ঠান পালিত হয়। কোথাও হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোথাও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রণাম করে আর্শীবাদ নিয়েছে পড়ুয়ারা। সদর পশ্চিম চক্রের স্কুলগুলি অন্য আঙ্গিকে পালন করল শিক্ষক দিবস। বৃহস্পতিবার প্রতিটি ক্লাসে পড়ুয়াকেই শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ করা হয়েছিল। একদিন আগেই তাদের পাঠ্য পুস্তকের নির্দিষ্ট একটি অনুচ্ছেদ পড়ানোর জনা বলা হয়েছিল। সেইমতো তারা হোমওয়ার্ক করে আসে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জুঁই সরকার বলে, শাড়ি পরে প্রথমে ইতস্তত লাগছিল। তবে পড়ানোর মধ্যে ঢুকে সে সব ভুলে গিয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছে। অহনা, কুশল দে’রা বলে, আজ ক্লাসে গিয়ে যা পড়ালাম জীবনে তা ভুলব না। তেজপাল লোহিয়া জিএসএফপি স্কুলের কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃহস্পতিবার ক্লাস নেননি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিন্দ্য সিংহ বলেন, আমরা আড়াল থেকে দেখছিলাম। শুরুতে জড়তা থাকলেও পরের অংশে সবাই সাবলিলভাবেই পড়িয়েছে। এতে রিডিং, লার্নিং স্কিল বাড়বে অবশ্যই।  স্কুলে ক্লাস নিচ্ছে খুদে এক পড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)