নবদ্বীপের মালঞ্চপাড়া চন্দ্র কলোনিতে প্রথম দুর্গাপুজো আয়োজনে মহিলারা
বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: দেবী দুর্গার আরাধনায় মেতে উঠতে প্রস্তুতি চালাচ্ছে নবদ্বীপের মালঞ্চপাড়া চন্দ্র কলোনির দশভুজা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ও সংসার খরচ থেকে কিছু কিছু টাকা জমিয়ে এবারই প্রথম দুর্গাপুজো আয়োজন করেছেন চন্দ্র কলোনির মহিলারা। সর্বাঙ্গসুন্দর পুজো আয়োজনে দিনরাত এক করে পরিকল্পনা চলছে।
নবদ্বীপ পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে মালঞ্চপাড়া চন্দ্র কলোনি রয়েছে। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই শ্রমজীবী। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিন ধরেই দুর্গাপুজো আয়োজনের ইচ্ছে ছিল। প্রতিবছর এখানকার মহিলাদের পুজো দিতে ও সিঁদুর খেলতে অন্য পাড়ার মণ্ডপে যেতে হতো। সেজন্যই চন্দ্র কলোনিতে দুর্গাপুজো আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন মহিলারা। গড়ে ওঠে দশভুজা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি।
পুজো কমিটির সভানেত্রী পিঙ্কি কর্মকার, সহ-সভানেত্রী মৌসুমী ভদ্র জানান, আগে পুজোর সময় অন্য পাড়ার মণ্ডপে যখন আনন্দের পরিবেশ, তখন এই এলাকায় নিস্তব্ধতা বিরাজ করত। সেজন্যই কয়েকমাস আগে এলাকার মহিলারা পুজো আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও সংসার খরচ থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে তাঁরা এই পুজো আয়োজন করছেন। প্রথম বছর ঘরোয়া মণ্ডপ ও দুর্গাপ্রতিমা থাকছে। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী-তিনদিনই খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হবে। ওই তিনদিন সন্ধ্যায় দেবীকে লুচি, সুজিও নিবেদন করা হবে। দশমীতে চিঁড়ে, মুড়কি, খই ও মিষ্টি ভোগ দেওয়া হবে। বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় গঙ্গায় প্রতিমা নিরঞ্জন হবে।
কমিটির সদস্যা লক্ষ্মী দাস, অনিতা কর্মকার, সোমা দাস, বৈশাখী দাস, বিজয়া বিশ্বাসরা জানান, স্থানীয় কাউন্সিলার বৃন্দাবন মণ্ডলের অনুপ্রেরণায় তাঁরা পুজো আয়োজনে এগিয়ে এসেছেন।
পুজো কমিটির যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ জয়া সাহা ও দীপালী চক্রবর্তী বলেন, আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় আমরা এতদিন পুজো আয়োজন করতে পারিনি। এবার ৮০জন মহিলা মিলে স্বপ্নপূরণে ময়দানে নেমেছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও নিজেদের সঞ্চিত টাকার পাশাপাশি এলাকার বাড়ি বাড়ি চাঁদাও তোলা হয়েছে। চন্দ্র কলোনির দশম শ্রেণির পড়ুয়া সহেলি, ষষ্ঠ শ্রেণির সাথী, সপ্তম শ্রেণির শ্রাবণী, তৃতীয় শ্রেণির পৌলমীরা জানাল, এবার পুজোর কয়েকদিন মণ্ডপেই বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করবে তারা। অন্য কোথাও যেতে হবে না।