• পুলিশি জরিমানা নিয়ে ক্ষোভ, অটো বন্ধ রইল গড়িয়া-গোলপার্ক রুটে
    আনন্দবাজার | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে যথেচ্ছ জরিমানা এবং পুলিশি নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ তুলে শুক্রবার অটোচালকদের একাংশ বাঘা যতীন মোড়ে বচসায় জড়ান কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে। যার জেরে গড়িয়া ও গোলপার্কের মধ্যে পাঁচ নম্বর বাসের পথ ধরে চলা দু’টি রুট ছাড়াও বাঘা যতীন থেকে রানিকুঠি রুটে দীর্ঘ সময় বন্ধ রইল অটো পরিষেবা। প্রায় ৬০০ অটো বসে যাওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়েন।

    এ দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ওই গুরুত্বপূর্ণ রুটে অটো বন্ধ থাকায় যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। যাদবপুর, বাঘা যতীন, ঢাকুরিয়ামুখী যাত্রীদের অনেকেই অটো না পেয়ে বাস ধরতে ছোটেন। কিছু যাত্রী অনেকটা বেশি ভাড়া খরচ করে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা হলুদ ট্যাক্সি ধরতেও ছোটেন। অটোচালক সংগঠন সূত্রে অভিযোগ, পুজো এগিয়ে আসতেই পুলিশি ধরপাকড় বেড়েছে। রাস্তায় যাত্রী তুলতে অটো দাঁড় করালেই নানা অভিযোগে মামলা করা হচ্ছে বলে চালকদের অভিযোগ। পাশাপাশি, বড় রাস্তায় ওঠার অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং কিছু ক্ষেত্রে টোটোকে পুলিশ রাস্তায় নামার ঢালাও অনুমতি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাস্তায় ভিড় বাড়ায় যান চলাচলে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। যানজট রুখতেই যানশাসন করা হচ্ছে বলে তাদের দাবি।

    এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বাঘা যতীন মোড়ে একটি অটো যাত্রী তোলার সময়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ার সেটির ছবি তোলেন বলে অভিযোগ। এ নিয়েই অটোচালকের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। অটোচালকদের অভিযোগ, অহেতুক ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভাঙার মামলায় তাঁদের জড়ানো হচ্ছে। পরিবহণ দফতরকে সব রকম কর দিয়েও জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে। অথচ, রিকশা নিয়ম ভাঙলেও পুলিশ নীরব থাকছে। অটোচালকদের একাংশ জানান, অতীতে এককালীন জরিমানা মেটানোর ক্ষেত্রে যে ছাড় মিলত, এখন তা বন্ধ। তাই চালকদের উপরে অস্বাভাবিক চাপ পড়ছে।

    পুলিশ অবশ্য অভিযোগ মানতে চায়নি। পরে গড়িয়া ট্র্যাফিক গার্ডে দু’পক্ষের দীর্ঘ বৈঠকের পরে আড়াইটে নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)