শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ২ দিন আগে শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কমিশনের। ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিলের পর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নবম- দশম এবং একাদশ- দাদ্বশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। দুটি পরীক্ষা মিলিয়ে মোট ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে চলেছেন। এরই মাঝে মোট ৩৫ হাজার ৭২৬ টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম- দশমে ২৩ হাজার ২১২ জন এবং একাদশ-দাদ্বশে ১২ হাজার ৫১৪ জনের শূন্যপদ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ শতাংশ ওবিসি ধরে শূন্যপদ উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থাকার কারণে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের গোটা প্যানেলটি বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে চাকরি হারায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন করে পরীক্ষার আয়োজন করে এসএসসি। পরীক্ষায় আবেদনের জন্য পোর্টাল খোলা হয়। সেখানে আবেদন শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। তবে এর মাঝে যোগ্য প্রার্থীরা পরীক্ষা না দেওয়ার দাবিতে পথে নামে। পুরোনো নিয়ম অনুযায়ী নূন্যতম ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকলেই আবেদন করা যেত। কিন্তু পরবর্তী নিয়মে তা বদলে নূন্যতম ৫০ শতাংশ নম্বর আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যক বলা হয়। আগের নিয়ম অনুযায়ী ৪৫ শতাংশকে ধার্য করার জন্য আন্দোলন করে পরীক্ষার্থীরা। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করে যোগ্য আন্দোলনকারীরা। সেইসময় আবেদনের প্রক্রিয়ায় কিছুটা হলেও বাধা পড়ে। এরপরে যোগ্য চাকরিহারাদের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশকেই ধার্য করা হয় ও নতুন প্রার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ নম্বরকে ধার্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ৩০ আগস্ট অযোগ্য চাকরিহারাদের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। সেখানে ১৮০৬ জন অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়। এরপরে আবার ২০ হাজার আবেদনকারীদের আবেদনপত্র বাতিল করে দেয় এসএসসি। সেখানে অযোগ্যদের আবেদন, আবেদনে ভুল থাকা অনেক আবেদনকারীর আবেদন বাতিল করে দেয় কমিশন। তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডও বাতিল করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ৭ এবং ১৪ তারিখ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। নবান্ন থেকে নির্দেশ পরীক্ষার দিন পরিবহন ব্যবস্থার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। পর্যাপ্ত যানবাহনের ব্যবস্থা, উপযুক্ত রেল পরিকাঠামো ঠিক রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়ার দিকে নজর রেখে বৃষ্টিপাত হলে পরীক্ষাকেন্দ্রের আশেপাশে জল জমলে তা দ্রুত নিকাশির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে জেলাশাসকদের নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে যদি কোনও সমস্যা হয় সেক্ষত্রে সরাসরি এসএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।