অবশেষে স্বস্তিতে ১ হাজার ৭২৯ জন আইসিডিএস কর্মী। সুপ্রিম নির্দেশে জট কাটল আইসিডিএস-এ সুপারভাইজার পদে নিয়োগে। শুক্রবার, আদালতের জটে আটকে থাকা ১৭২৯ জনকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ করতে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ ।ফলে হাই কোর্টে আবেদনকারী মমতা পারিহার-সহ ৪১৫ জন অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীর নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না।
উল্লেখ্য, হাই কোর্ট ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রায়ে জানায়, গাইডলাইন মেনে ৫০ শতাংশ পদে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের থেকেই পদোন্নতির ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সেই রায় বহাল রাখে। ১ হাজার ৭২৯ জনকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আবেদনে খারিজ হয়ে গেল। আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, আইসিডিএস সুপারভাইজার পদে সর্বশেষ নিয়োগ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ২৬ বছর পর আইসিডিএসে সুপারভাইজার নিয়োগের জট কাটে কলকাতা হাই কোর্টে। শুধু আদালতের জটে আটকে থাকা মামলাকারী-সহ ১৭২৯ জনকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ করতে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ই বহাল থাকল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।
প্রসঙ্গত, হাই কোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রায়ে জানান, গাইডলাইন মেনে ৫০ শতাংশ পদে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের থেকেই পদোন্নতির ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সেই রায় বহাল রাখে। আইনজীবী আশীষ বাবু জানান, আইসিডিস সুপারভাইজার পদে সর্বশেষ নিয়োগ হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। অভিযোগ ছিল, গাইডলাইন না মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। গত প্রায় ২৬ বছর ধরে রাজ্য সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অথচ তাদের দিয়ে সরকার সমস্ত কাজ করিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল সুপারভাইজার নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট শূন্যপদের ৫০ শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং ৫০ শতাংশ বাইরে থেকে নিয়োগ করতে পারবে। কিন্তু এই নির্দেশ না মেনেই বাইরে থেকেই ৭৫ শতাংশ শূন্যপদে নিয়োগ হচ্ছিল। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে।