সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি তৃণমূলের দুই প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌগত রায়। কিন্তু আগামী মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে দীর্ঘদিন পরে নয়াদিল্লি আসছেন তাঁরা। তৃণমূল সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যায় তাঁদের নিয়ে শহরে পৌঁছবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। ভোটদান পর্ব শেষ হলে তিনিই আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডিকে প্রার্থী করেছেন বিরোধীরা। সংখ্যার হিসাবে জয়ের প্রশ্ন নেই, কিন্তু লড়াইটাকে প্রতীকী অ্যাখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, এসপি-র মতো দলগুলি। আরএসএস-এর ভাবধারার বিরুদ্ধে সংবিধান এবং গণতন্ত্রের স্বপক্ষে এই ভোটের প্রশ্নে তৃণমূল তার দায়বদ্ধতার কথা বলেছে। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তাদের ৪১টি ভোটেরও গ্যারান্টি দিয়েছে। তবে, অন্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে যাচ্ছেন না রেড্ডি। তৃণমূলের বক্তব্য, তার প্রয়োজন হচ্ছে না, কারণ রাজ্যের বিরোধীদের ভোট পাওয়া নিশ্চিত। আজ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘বাদল অধিবেশনে যেতে পারলাম না অসুস্থতার কারণে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ডাক্তার অনুমতি দিলে ভোট দিতে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। অনুমতি মিলেছে। সংবিধানের প্রতি আস্থার এই লড়াই, সেখানে একটা ভোটই বা কম হবে কেন?’’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ৫টা ভোট গ্রহণ চলবে। বিআরএস-এর ভোটদানে অংশগ্রহণ না করার সম্ভাবনা বাড়ছে বলেই রাজনৈতিক সূত্রের খবর। তাদের সমস্যা, রেড্ডির বিরুদ্ধে ভোট দিলে তেলঙ্গানার আবেগের বিরোধিতা করা হবে। আবার সরকারের উল্টো দিকে গিয়ে ভোট দেওয়াও সম্ভব নয়।
অন্য দিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিতে আগামিকাল দিল্লি এসে পৌঁছবেন বিজেপির লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদেরা। আগামিকাল সন্ধ্যায় সাংসদদের নৈশভোজে ডাকার কথা রয়েছে। রবিবার সকাল থেকে সংসদের বালযোগী প্রেক্ষাগৃহে সাংসদদের কী ভাবে ভোট দিতে হবে সে নিয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উপস্থিত সাংসদদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। ওই প্রশিক্ষণ পর্ব সোমবারও চলবে। সূত্রের মতে, ওই দিন যেহেতু সাংসদেরা দিল্লিতে থাকছেন, সে কারণে একাধিক সংসদীয় কমিটির বৈঠক রাখা হচ্ছে। সোমবার রাতে নিজের লোককল্যাণ মার্গের বাড়িতে সাংসদদের নৈশভোজে ডাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদীর।