বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কিছুতেই, রাগে খুন করে প্রেমিকাকে মাটিতে পুঁতে দিলেন, ওড়িশায় বয়ফ্রেন্ডের কাণ্ডে চাঞ্চল্য...
আজকাল | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিখোঁজের আট মাস পর এক তরুণীর অর্ধপচা দেহ উদ্ধার হল পরিত্যক্ত খনি থেকে। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগে তাঁর সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম নিরূপমা পড়িদা। তাঁর বয়স ২২। ভুবনেশ্বরে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। পরিবারের কাছে মিতা নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি। গত ২৪ জানুয়ারি তিনি পরিবারকে জানান, নৈজ গ্রাম রণপুর যাচ্ছেন। পরিবার সূত্রে খবর, আদৌ সেখানে পৌঁছননি তিনি। তার তিনদিন পর, ২৭ জানুয়ারি, পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। শুরু হয় তদন্ত। তবে মাসের পর মাস কেটে গেলেও কোনও অগ্রগতি হয়নি। পরিবারের সদস্যরা বারবার মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধানসভার স্পিকারের দ্বারস্থ হয়ে ন্যায় বিচারের আবেদন জানান।
শেষমেশ এই সপ্তাহে পুলিশের হাতে আসে বড় সাফল্য। নিরূপমার মোবাইল ফোনে খোঁজ চালিয়ে ডিজিটালি পাওয়া একাধিক তথ্য সূত্রে উঠে আসে আসল রহস্য। দেখা যায়, নিখোঁজ হওয়ার পরেও মাঝেমধ্যে ফোনটি চালু করা হচ্ছিল। সূত্র ধরেই পুলিশ পৌঁছে যায় দেবাশিস বিসোইয়ের কাছে। সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেই নিরূপমাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে অভিযুক্ত। কমিশনারেট পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘নিখোঁজের দিনই নিরূপমা ও দেবাশিস একসঙ্গে ওই খনিতে গিয়েছিলেন। সুযোগ বুঝে খুন করে দেহ গোপন করে বিসোই। পরবর্তীকালে মৃতার ফোন ব্যবহার করে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা তুলতে থাকে সে।’
খনি থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর মৃতদেহ শনাক্ত করেন নিরূপমার বাবা ও ভাই। তাদের অভিযোগ, ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে নিরূপমাকে। অভিযুক্তের জন্য কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। পুলিশ ইতিমধ্যেই অপরাধে ব্যবহৃত গাড়ি উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ২৬ বছর বয়সী এক যুবক তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কের টানাপোড়েন ও ঋণ ফেরত দেওয়ার চাপ থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। প্রেমিকা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন যুবক। খবর অনুযায়ী, নিহত যুবতী বয়সে অভিযুক্তের প্রায় দ্বিগুণ ছিলেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত অরুণ রাজপুত নিজের প্রেমিকাকে ওড়নার সাহায্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এই ঘটনা ঘিরে রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অরুণ রাজপুত ও ৫২ বছর বয়সী ওই যুবতী ইনস্টাগ্রামে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন। শুরুতে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে দুজনের মধ্যে অনলাইনে কথোপকথন চলতে থাকে। এরপর একপর্যায়ে তাঁরা মোবাইল নম্বরও আদানপ্রদান করেন। যুবতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইনস্টাগ্রাম ফিল্টারের মাধ্যমে নিজেকে কম বয়সী হিসেবে উপস্থাপন করতেন। খবর অনুযায়ী, দু মাস আগে তাঁরা প্রথমবারের মতো ফাররুখাবাদ জেলার একটি হোটেলে দেখা করেন। সেখানে রাজপুত বুঝতে পারেন, যুবতীর বয়স প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি। তখন ওই যুবতী জানান যে তাঁর বয়স ৫২ বছর। বয়স বেশি হলেও রাজপুত সম্পর্ক থেকে সরে আসেননি। বরং কৌশলে তাঁর কাছ থেকে প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা ধার নেন।
এরপর ওই মহিলা রাজপুতকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন এবং একইসঙ্গে ঋণ ফেরতের জন্যও জোর দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজপুত তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা শুরু করেন। তদন্তে জানা গিয়েছ, এরপর তিনি তাঁর প্রেমিকাকে মেইনপুরীতে ডেকে নেন। পরবর্তীতে সেখানে একটি নির্জন স্থানে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করেন। পরবর্তীতে মহিলার পরিবারের সদস্যরা নিকটবর্তী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। এরপর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরিবারের দেওয়া ফোন নম্বরের কল ডিটেইলস রিপোর্ট (CDR) বিশ্লেষণ করে পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক অরুণ রাজপুতের অবস্থান চিহ্নিত করে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রাজপুত হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। এহেন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে।