আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মিরাটে মহিলাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে তথাকথিত ‘নগ্ন গ্যাং’ নিয়ে। সম্প্রতি, চতুর্থবারের মতো এক মহিলাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে মিরাটে দাউরালা এলাকার ভারালা গ্রামে। ঘটনায় শোরগোল পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এলাকায় চলছে ড্রোনের মাধ্যমে কড়া নজরদারি। ঘটনা অনুযায়ী, কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুই যুবক এক মহিলাকে মাঠে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এলে মহিলা মুক্তি পান। তল্লাশি চালিয়েও কাউকে ধরা যায়নি। ওই মহিলা পরিবারের কাছে জানান, অভিযুক্তরা সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় ছিল। ভয়ে চাকরি বদল করেছেন তিনি, পরিবর্তন করেছেন যাতায়াতের পথও।
জানা গিয়েছে, এই গ্যাংয়ের বিশেষত্বই হল, এরা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে অপরাধমূলক কাজ করে থাকে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এর আগেও আরও তিনটি এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু লজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। গ্রামের প্রধান রাজেন্দ্র কুমার জানান, প্রথমে মানুষ গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু একের পর এক ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই গ্যাং এখনও পর্যন্ত কেবল মহিলাদের টার্গেট করেছে বলেই অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে মাঠে ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়, ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। জেলাশাসক বিপিন তাদা বলেন, ‘ড্রোন এবং গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে, তবে কাউকে ধরা যায়নি।
মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, তল্লাশি জারি রয়েছে।’ এদিকে আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন বহু পরিবার। তবে গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, পুরো ঘটনাই গুজব হতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে দুষ্টচক্রের সাজানো নাটক।সম্প্রতি, নাসিকের মালেগাঁওয়ে দাপট বেড়েছিল আন্ডারওয়্যার গ্যাংয়ের। কয়েকদিন আগে গভীর রাতে একটি মালেগাঁওয়ের একটি বাড়িতে ঢুকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার সোনা এবং কলা চুরি করেছে এই গ্যাংয়ের সদস্যরা। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই গ্যাংয়ের সদস্যরা মূলত অন্তর্বাস পরে চুরি করতে বেরোয় গভীর রাতে। সেরকমই অন্তর্বাস পরা গ্যাংয়ের চার সদস্যকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে কলেজে প্রবেশ করার সময়।
দেখা গিয়েছে, একজন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন। মহারাষ্ট্রের একাধিক অঞ্চলে এই আন্ডারওয়্যার গ্যাংকে চাড্ডি বানিয়ান গ্যাং বলা হয়ে থাকে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করাই এই গ্যাংয়ের উদ্দেশ্য। তবে এই ধরনের ডাকাতির সঙ্গে একাধিক গোষ্ঠী সংযুক্ত কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। আন্ডারওয়্যার গ্যাংয়ের দাপট বাড়ার আগে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গাউন গ্যাং। মূলত মহিলাদের পোশাক গাউন পরে ডাকাতি করত এই গাউন গ্যাং। আবার মালেগাঁওয়ের আবাসিক এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হানা দিয়েছিল এই গাউন গ্যাং। তাদের বিরুদ্ধে মন্দিরের দানবাক্স থেকে টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। ডাকাতির বাড়বাড়ন্তে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা চুরির লাগাম টানতে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি করছেন।