• পড়শির পুকুরে ৯-এর শিশুর প্রাণহীন দেহ! 'খুনি' দম্পতিকে পিটিয়ে মারল এলাকাবাসী...
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • অনুপ কুমার দাস: শুক্রবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ৯ বছরের স্বর্ণাভ বিশ্বাস। শনিবার বাড়ির পাশের এক পুকুর থেকে ত্রিপল জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হয় কিশোরের দেহ। ঘটনাটি নদিয়ার তেহট্ট নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, পাশের এক বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার হয় শিশুর দেহ। সেই প্রতিবেশী বাড়ির দম্পতির সঙ্গে স্বর্ণাভর পরিবারের গোলমাল ছিল। আর তাদেরই বাড়ির পুকুর থেকে কিশোরের দেহ উদ্ধারের পর উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

    ওই দম্পতির উপর চড়াও হয় এলাকাবাসী। সন্দেহ যে, তারাই কিশোরকে খুন করেছে। এলাকার লোক তারপর তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জনরোষ রীতিমত ধুন্ধুমার পরিস্থতির সৃষ্টি হয়। আরও জানা গিয়েছে, স্বর্ণাভ শুক্রবার দুপুরে খেলতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ছেলে বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোক হন্যে হয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। থানায় গিয়ে মিসিং ডায়েরিও লেখানো হয়। 

    শনিবার প্রতিবেশীর পুকুর থেকে স্বর্ণাভের দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, প্রতিবেশী দম্পতি স্বর্ণাভের দুঃসম্পর্কে আত্মীয়, কিন্তু তাদের সঙ্গে স্বর্ণাভর পরিবারের ভালো সম্পর্ক ছিল না। কিশোরের পরিবারের সন্দেহ যে, তারাই স্বর্ণাভ খুন করে দেহ লোপাটের জন্য পুকুরে ফেলে দেয়।

    এলাকাবাসীরা দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাস্থলেই দম্পতির মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু-সহ তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে তেহট্ট পুলিস মর্গে নিয়ে আসে। সেখান থেকে কৃষ্ণনগর পুলিস মর্গে পাঠিয়ে সেখানে ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের গতিবিধি এগোবে। পুলিস সুপার গ্রামীণ উত্তম ঘোষ বলেন, এছাড়া মৃত শিশুর কাকা এবং পিসেমশাইয়ের দাবি পাশের বাড়ির লোকজনই খুন করে জলে ফেলে দিয়েছে। এমনকি ওই দম্পতি শিশু পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে শোনা গিয়েছে। একবার ধরা পড়েছিল তখন শিশু পাচার করতে পারেনি গ্রামবাসী ছেড়ে দিয়েছিল।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)