• 'দেখলাম, ভারী কিছু একটা দিয়ে বাবা থেঁতলাচ্ছে মায়ের মাথা! তারপরই নিজে সিলিং ফ্যান থেকে...'
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সৌমেন ভট্টাচার্য: শিক্ষক দিবসে নিমতায় শিক্ষককে খুনের অভিযোগ পরিবারের। মৃত্যু নিয়ে রহস্য, প্রাথমিক ভাবে স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের চেষ্টা করে স্বামী আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা সামনে এলেও পরবর্তীতে মৃত শিক্ষকের পরিবার অভিযোগ করেন স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁদের ছেলেকে মেরেছে। 

    কী ঘটেছিল?

    দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত নিমতার গৃহশিক্ষক গৌরাঙ্গ আচার্য ওরফে বাবু (৬০) এবং গৃহকর্ত্রী রুবি ওরফে মিলি আচার্যর (৪৫)। তাঁদের বাবা-মা মাঝে মধ্যেই সেই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। শুক্রবার বিকেলেও তাঁরা যান। ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় তাঁরা দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলেন। ঘরের ভিতরে জামাইকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁরা দেখতে পান, ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁদের মেয়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। 

    একমাত্র মেয়ের সাক্ষ্য: 

    পাশের ঘর থেকে মাথায় আঘাত নিয়ে নাতনিকে দেখতে পান তাঁরা। তাকে নিয়েই তাঁরা ছুটে যান থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে যায় পুলিস। স্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। স্ত্রী চিকিৎসাধীন। তাঁদের মেয়েকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নিমতা থানার অধীন প্রতাপগড় এলাকায়। মৃত ব্যক্তি গৌরাঙ্গ আচার্য। তাঁর স্ত্রী রুবি ওরফে মিলি আচার্য ও মেয়ে তৃষা চিকিৎসাধীন। 

    পুলিসের বক্তব্য: 

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে যে, ওই প্রৌঢ় তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ৫ কেজি ওজনের বাটখারা দিয়ে মাথায় আঘাত করার পরে ভেবেছেন যে, মেয়ে ও মা বাঁচবে না। তার পরে নিজে আত্মঘাতী হন। তবে সেই তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। প্রৌঢ়ের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হচ্ছে।

    যদিও পুলিস সূত্রে খবর, এক নাবালিকা তার দিদিমার সঙ্গে থানায় এসে জানান তার বাবা তাকে মাকে পাঁচ কিলো ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করে এবং তার বাবা আত্মঘাতী হয়ছেন। ঘটনাস্থলে এসে পুলিস দেখেন গৌরাঙ্গ আচার্য ফ্যান থেকে ঝুলছেন এবং তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। 

    শেষ পাওয়া খবর: 

    এরপরে তারা তাদেরকে উদ্ধার করে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা গৌরাঙ্গ আচার্যকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও গৌরাঙ্গ আচার্যের পরিবারের অভিযোগ, স্বামীকে হত্যা করে স্ত্রী। আর পরিবারের লোকজনেরা আহত হওয়ার নাটক করেন। নিত্যদিন গৌরাঙ্গ আচার্য ও তার স্ত্রী রুবির মধ্যে অশান্তি হত। কিন্তু শেষ তিনদিন এই ঝগড়া চরম আকার নেয়। এই কারণে এই ঘটনা কি না খতিয়ে দেখছে পুলিস আধিকারিকরা।

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)