মুম্বইয়ে স্রেফ মুসলিমদের জন্য তৈরি হচ্ছে ‘হালাল’ আবাসন, রাজ্যকে নোটিস ক্ষুব্ধ মানবাধিকার কমিশনের
প্রতিদিন | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা আস্ত আবাসন তৈরি হচ্ছে শুধু নির্দিষ্ট একটি ধর্মের মানুষের জন্য। তাতে অন্য ধর্মের কারও থাকার অধিকার নেই। সেখানে নাকি ‘হালাল’ পরিবেশে বসবাস করার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। মুম্বইয়ে নির্মীয়মাণ এক বহুতল আবাসন ঘিরে অভিযোগ এমনটাই। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আসরে নেমে পড়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
অভিযোগ, মুম্বইয়ের কার্জট এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে নাকি ঘোষিতভাবে শুধু মুসলিমদেরই থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ওই আবাসনটির নাম আবার দেওয়া হয়েছে, ‘হালাল লাইফস্টাইল টাউনশিপ’। মুম্বইয়ের মতো শহরে এ হেন ধর্মীয় গোঁড়ামিতে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ। বিষয়টি নজরে পড়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেরও। সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তরফে মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিবকে এ নিয়ে একটি নোটিসও পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিবকে।
মানবাধিকার কমিশনের সদস্য প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলছেন, “আমাদের নজরে যে বিষয়টি এসেছে সেটা সংবিধানের মূল ভাবধারার বিরোধী।” কানুনগোর বক্তব্য, এভাবে শুধু নির্দিষ্ট একটি ধর্মের জন্য বাড়ি বানানো বা প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দেওয়া সংবিধান বিরোধী।” এভাবে শুধু মুসলিমদের জন্য আবাসন তৈরি করা হলে সেটা মৌলবাদের আখড়া তৈরি হবে বলেও আশঙ্কা করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। কানুনগোর প্রশ্ন, প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এই ধরনের আবাসন তৈরি হচ্ছে? অনুমতিই বা দিল কে?
ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য বাড়িভাড়া না পাওয়া বা জমিজমা কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়া, এ ধরনের ঘটনা যে ভারতে একেবারে ঘটে না তেমন নয়। কিন্তু মুম্বইয়ের মতো শহরে স্রেফ একটি ধর্মের জন্য বাড়ি তৈরি নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। চমকপ্রদ বিষয় হল, মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে ক্ষমতায় বিজেপিই। সেই সরকারের আমলেই কীভাবে ঘটছে এমন কাণ্ড? প্রশ্ন উঠছেই।