• ‘বিড়ি ও বিহার’ বিতর্ক এড়াতে মরিয়া কংগ্রেস! পদত্যাগ কেরলের সোশাল মিডিয়া সেলের প্রধানের
    প্রতিদিন | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিড়ি ও বিহার’ বিতর্কে দেশজুড়ে হইচই। চাপের মুখে বিতর্ক এড়াতে মরিয়া কংগ্রেস নেতৃত্ব। ‘উপরতলা’র নির্দেশে পদত্যাগ করেছেন কেরলের সোশাল মিডিয়া সেলের প্রধান ভি টি বলরাম।

    সম্প্রতি, কেরল কংগ্রসের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লেখা হয়, ‘বিড়ি ও বিহার-দুটোই ‘বি’ দিয়ে শুরু হয়। তাই একে আর পাপ বলে মনে করা হয় না।’ পাশাপাশি, একটি ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়, বিড়িতে কর ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, সিগারেটের ওপর কর ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। এমন একটি পোস্ট সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসার পরই নিয়েই ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। এরপরই কেরল কংগ্রেসের সোশাল মিডিয়া থেকে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। 

    বিহারের সঙ্গে বিড়ির তুলনা করায় কংগ্রেসের এহেন কাজের তীব্র সমালোচনা করেছে বিহারের শাসকদল জেডিইউ। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরমহল ও ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের তরফেও। আরজেডি নেতা তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবও কংগ্রেসকে এহেন পোস্টের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন। অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, কেরল কংগ্রেসের এই সোশাল মিডিয়া পোস্টটির উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তামাকজাত দ্রব্যে জিএসটি নীতির সমালোচনা করা।

    বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি শনিবার কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সানি জোসেফও পোস্টটির নিন্দা করেছেন এবং জানিয়েছেন যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ ধরনের পোস্ট করা ভুল হয়েছে। কংগ্রেস কখনওই এ ধরনের পোস্টকে সমর্থন করে না। 

    কেরল কংগ্রেস নেতৃত্ব সূত্রে খবর, সোশাল মিডিয়া টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভি টি বলরাম নিজেই পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। যদিও তিনি এই ভুলের বিষয়ে নাকি কিছুই জানতেন না। তাঁর দলের সদস্যদের ভুলেই এই ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, বিষয়টি সোশাল মিডিয়া সেলের কাঁধে চাপিয়ে নিজেদের ভুল এড়াতে চাইছে কেরল কংগ্রেস।
  • Link to this news (প্রতিদিন)