• ‘মসজিদে সরকারি প্রতীক থাকবে কেন?’ অশোক স্তম্ভ ভাঙচুরে জড়িতদের পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
    এই সময় | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • জম্মু-কাশ্মীরের হজরতবাল মসজিদের সংস্কার ফলকে অশোক স্তম্ভের প্রতীক ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গ, দাঙ্গা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। তবে শনিবার ভাঙচুরে জড়িতদের পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। প্রশ্ন তুললেন, ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অশোক স্তম্ভ লাগাবে কেন?’

    ঠিক কী হয়েছে? সম্প্রতি হজরতবাল মসজিদ সংস্কার করে ওয়াকফ বোর্ড। লাগানো হয় ফলকও। সেখানেই ছিল অশোক স্তম্ভের প্রতীক। আপত্তি এখানেই। শুক্রবার নমাজের পরে ফলকের জাতীয় প্রতীকের লোগো ইট দিয়ে মেরে ভেঙে দেয় উন্মত্ত জনতা। ঘটনার পরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন দারাখশান আন্দ্রাবি। জননিরাপত্তা আইন প্রয়োগের হুমকিও দেন তিনি।

    এ দিন বন্যাকবলিত দক্ষিণ কাশ্মীর পরিদর্শনে গিয়ে ওয়াকফ বোর্ডকেই কাঠগড়ায় তোলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর মতে, ‘এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’ ওয়াকফ বোর্ডকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান তিনি।

    ওমরের কথায়, ‘প্রশ্ন হলো, ধর্মীয় স্থানে এই প্রতীক লাগানো হলো কেন? আমি তো আগে কোথাও এমন দেখিনি। মন্দির, মসজিদ, মাজার, গুরুদ্বার কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়। সেখানে সরকারি প্রতীক ব্যবহার হয় না।’ এর পরেই ওয়াকফ বোর্ডকে রীতিমতো তুলোধনা করেন তিনি। ওমর বলেন, ‘ওয়াকফ বোর্ড মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা করেছে। এখন আবার হুমকি দিচ্ছে। প্রথমে ওদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। ভুল স্বীকার করা উচিত।’

    তবে শুধু ওমর নন। উপত্যকার প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ওয়াকফ বোর্ডের নিন্দা করে অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা রুহুল্লাহ মেহদি এবং তানভির সাদিক বলেন, ‘ইসলামে মূর্তি পুজো নিষিদ্ধ। মসজিদের ভিতরে কোনও প্রতীক থাকাটাই রীতি বিরুদ্ধ।’ মুসলিমদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (PDP)-ও।

  • Link to this news (এই সময়)