• স্ত্রী-র লিভ ইন পার্টনারের নতুন দাবি, মেটাতে গিয়ে কী ঘটল জানলে শিউরে উঠবেন
    আজকাল | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরকীয়ার জেরে ফের খোয়াতে হল প্রাণ। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কেরালাতে। সেখানকার নাদুভাথোর জেলাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের লিভ ইন সঙ্গীর দিকে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তের বাড়ি সামনেই ছিল। তাই তাকে ধরতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

    পুলিশ জানিয়েছে বহুদিন ধরেই স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী এই ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের একটি সন্তানও ছিল। তবে তার স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে না থেকে সন্তানকে সঙ্গে নিয়েই প্রতিবেশীর সঙ্গে লিভ ইন করত। এই নিয়ে বহুবার উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।

    ঘটনা চরমে পৌঁছয় শুক্রবার যখন স্বামীর কাছে সম্পত্তি দাবি করে তার স্ত্রী। নিজের এবং সন্তানের ভরণপোষণের জন্য স্বামীর কাছে টানা চাপ দিতে থাকে সে। তবে যেহেতু সে প্রতিবেশীর সঙ্গে লিভ ইন করত তাই তাকে কোনও টাকা দিতে অস্বীকার করে তার স্বামী। এরপর স্ত্রী-র লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বামী। অভিযোগ স্বামীর কাছ থেকে টাকা হাতানোর তাল করেছিল স্ত্রী-র লিঊ ইন পার্টনার। তার কথাতেই কাজ করছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী।  

    হঠাৎই ধারালো ছুরি নিয়ে এলে মহিলার স্বামীকে টানা কোপাতে থাকে প্রতিবেশী যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। এরপর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন মেনে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজস্থানের নাগৌর জেলায় এমনই একটি ঘটনা হয়। ভাওয়ান্দার পুলিস জানিয়েছে অভিযুক্ত ২৯ বছরের সোহানরাম ২৭ অগাস্ট তার খুড়তুতো ভাই মুকেশ গালওয়াকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। অভিযোগ, সোহানরাম মুকেশকে গণেশ পুজোর আমন্ত্রণ পাঠায়। 

    দাদার আমন্ত্রণ পেয়ে মুকেশ আসেন। তারপর সোহানরাম ছল করে মুকেশ তার সঙ্গে নিয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, গভীর রাতে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সোহানরাম মুকেশকে ভিড় থেকে দূরে গ্রামের রাস্তার কাছে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এবং লোহার রড দিয়ে তার মাথায় বারবার মারতে থাকে। যতক্ষণ না পর্যন্ত মুকেশ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

    এরপর সোহানরাম মৃতদেহটি তার নিজস্ব খনির জায়গায় নিয়ে যান। যা স্থানীয় মন্দির থেকে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ মিটার দূরে ছিল। সেখানে খুনের পর বুলডোজার দিয়ে ১০ ফুট গভীর গর্ত খোঁড়ে সোহানরাম। তারপর সেই গর্তে মুকেশের মৃতদেহকে পুঁতে দেয়। এরপর সে জায়গাটিকে লুকোনোর জন্য বালি এবং ছোট পাথর দিয়ে ঢেকে দেয়।

    অন্যদিকে, মুকেশ বাড়ি না ফেরায় ২৯ অগাস্ট তাঁর পরিবার নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করে। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে, আত্মীয়দের সন্দেহের তির সোহানরামের দিকেই যায়। তারপরই পুলিস সোহানরামকে আটক করে।

    জিজ্ঞাসাবাদে সোহানরাম নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে। এবং বলে যে মুকেশের সঙ্গে তার স্ত্রী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যার জেরে সে খুবই কষ্ট পায়। ফলে রাগে সে মুকেশকে খুন করে। ৩ সেপ্টেম্বর, পুলিস সোহানরামকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে সোহানরামের নির্দেশে মুকেশের দেহ তোলা হয়। মুকেশের দেহ মুন্ডোয়ার একটি সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় এবং পরে মুকেশের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইতোমধ্যেই পুলিস খুনের অভিযোগে সোহানরামকে গ্রেপ্তার করেছে।
  • Link to this news (আজকাল)