ড্যামেজ কন্ট্রোলের মরিয়া চেষ্টা, পদ ছাড়লেন কেরল কংগ্রেসের সোশাল মিডিয়ার প্রধান
আজকাল | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সোশ্যাল মিডিয়া প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ভি টি বলরাম। কংগ্রেসের সরকারি এক্স হ্যান্ডল থেকে ‘বিড়ি-বিহার’ নিয়ে করা একটি বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে তীব্র সমালোচনা হয়। বিজেপির নিন্দার চাপে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় হাত শিবির। এরপরই মুখে সরে দাঁড়ালেন ভি টি বলরাম।
কংগ্রেসের কেরল শাখার এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছিল— “বিড়ি ও বিহার শুরু হয় 'বি' দিয়ে। তাই একে আর পাপ বলে মনে করা হয় না।” আসলে সম্প্রতি জিএসটি কাউন্সিল বিড়ির কর-হার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করেছে। একই সঙ্গে বিড়ি বানানোর মোড়ক হিসেবে ব্যবহৃত তেন্ডি পাতার উপর করও কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। অথচ সিগারেটের উপর বাড়তি কর বলবৎ থাকবে। তামাক ও সিগারেটের মতো কিছু নির্বাচিত দ্রব্যের জন্য বিশেষ ৪০ শতাংশ করস্ল্যাব প্রস্তাবিত হয়েছে। ফলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে কেরল কংগ্রেসের তরফে ওই পোস্ট করা হয়েছিল।
এই মন্তব্যকে বিহার এবং বিহারের মানুষকে অপমান বলে কড়া সমালোচনা করে রাজ্যের শাসক জোট এনডিএ। এমনকী কংগ্রেসের জোটসঙ্গী আরজেডি-ও দ্রুত সেই মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। কারণ বিহারই দেশের অন্যতম প্রধান বিড়ি উৎপাদন কেন্দ্র, যেখানে প্রায় ৭০ লক্ষ শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
দুই দফার বিধায়ক বলরাম গত বছর ড. পি সারিন সিপিএম-এ যোগ দেওয়ার পর থেকে কেপিসিসি-র ডিজিটাল সেলের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু বিতর্ক চরমে উঠতেই শুক্রবার তিনি দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান।
জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা কংগ্রেসকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘‘বি মানে শুধু বিড়ি নয়, বি মানে বুদ্ধি, যা কংগ্রেসের নেই। বি মানে বাজেটও, যা বিহার বিশেষ সাহায্য পেলে কংগ্রেসকে কষ্ট দেয়। এই ধরনের পোস্ট শুধু বিহারের মানুষকেই নয়, দেশের গৌরবময় ইতিহাস এবং গণতন্ত্রকেও অপমান করেছে।’’ তিনি সতর্ক করে দেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে বিহারের মানুষ এর জবাব দেবে।’’
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়াল্লা কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বি যদি বিহার আর বিড়ি হয়, তবে সি-ও জানা উচিত— সি মানে কংগ্রেস, সি মানে কোরাপশন (দুর্নীতি)।’’