• হুগলিতে ইলেকট্রিক গাড়ি কারখানার উদ্বোধন করলেন কুণাল ঘোষ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • হুগলির সুগন্ধায় ইলেকট্রিক গাড়ি কারখানার উদ্বোধন করলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান ও উজ্জ্বল বিশ্বাস। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে নতুন এই ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আসতে পারে। হুগলির সুগন্ধার এই কোম্পানি ইতিমধ্যেই বিএলডিসি ফ্যান তৈরি করেছে। বাজারে ভালোই চাহিদা রয়েছে সেই ফ্যানের। এদিন কোম্পানির নতুন ‘ইলেকট্রিক থ্রি হুইলার’-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়।

    কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এর ফলে এই এলাকার অর্থনৈতিক মানচিত্রই বদলে যাবে। কারখানাকে কেন্দ্র করে আরও কিছু অনুসারী শিল্প গড়ে উঠবে। এলাকার বহু বেকার যুবক, যুবতী চাকরি পাবে। কারখানাটি গড়তে রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে সহায়তা করবে। আগামী বছর জানুয়ারি মাসে নতুন এই ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আসবে।’

    ওই কোম্পানির অন্যতম আধিকারিক সম্রাজ্ঞী ঘোষ বলেন, ‘বাজারে যে ইলেকট্রিক থ্রি হুইলার চলছে, তার থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যাবে এই ইলেকট্রিক থ্রি হুইলার। আধুনিক ডিজাইনের এই গাড়িও অচিরেই বাজার দখল করবে। নতুন এই ইলেকট্রিক থ্রি হুইলার আমাদের ডিলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমরা জোর দিচ্ছি দামের উপর।’

    সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মূলত মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখেই ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করা হবে। সেই কারণে দামও সাধ্যের মধ্যে রাখা হবে। চার্জিং টেকনোলজি এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে অন্তত ১৮ ঘণ্টা চার্জ থাকে। কারখানা থেকে সমস্ত রকম পরীক্ষা শেষ হলে সরকারি সার্টিফিকেট নেওয়ার পরই বাজারে তা ছাড়া হবে। গুণগত মানের উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে টাটাদের ন্যানো কারখানার জন্য এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল সিঙ্গুরে। জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেছিলেন অনিচ্ছুক কৃষকেরা। সেই সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাগাতার আন্দোলনে অবশেষে হুগলির সিঙ্গুর থেকে বিদায় নেয় টাটারা। এবার সেই হুগলি জেলাতেই তৈরি হবে ইলেকট্রিক চারচাকা গাড়ি।’

    কুণাল ঘোষ এদিন সাফ জানিয়ে দেন, ‘এই হুগলিতে একসময় একটা গাড়ি তৈরির কথা ওঠে। কারখানা হয়নি। তা নিয়ে নানারকম কথা ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা যে দল এখন ক্ষমতায় রয়েছে, তাঁরা কেউ শিল্পের বিরুদ্ধে ছিল না। প্রশ্নটা ছিল জমি নিয়ে। তিন ফসলি কৃষি জমি সরকার জোর করে নিতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তখন একশোবার বলা হয়েছিল ন্যানো কারখানা হোক কিন্ত জোর করে কৃষি জমি নিয়ে নয়। ওটা জমি বিতর্ক ছিল শিল্প বিতর্ক ছিল না।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)