শিলিগুড়িতে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কিশোরীর নাম সরলা ঠকচক। কদমতলা বিএসএফ স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া সে। বয়স মাত্র ১৫ বছর। ছাত্রীর মা বিএসএফে কর্মরত। কদমতলা পাঁচ নম্বর গেটের কাছে বিএসএফের আবাসনেই থাকে সরলারা। একটি চিঠি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান, সেটি সরলারই লেখা। ওই চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। বাবা-মায়ের চাহিদা পূরণ করতে পারিনি। আমি পড়াশোনায় ভালো না। আমার দ্বারা হল না।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সরলা। যদিও সে স্কুলে যায়নি। আবাসন থেকে খানিকটা দূরেই একটি বেসরকারি বহুতল আবাসন ঢুকে যায় সে। সম্ভবত এরপরই ছাদে গিয়ে সেখান থেকে ঝাঁপ দেয়। তাকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা সরলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে আর একটি বহুতলের ছাদে চলে গেল, তা নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, পড়াশোনার চাপে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, ‘সুইসাইড নোট দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে যে, বাবা-মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছিল না বলে মনে মনে কষ্ট পাচ্ছিল মেয়েটি। সেটাই লিখেছে। তবে তদন্ত চলছে। অন্য কোনও কারণ থাকলে তা অবশ্যই বেরিয়ে আসবে।’