অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: রাতভর নিখোঁজ ছিলেন যুবক। আজ, শনিবার সকালে স্থানীয় এক পুকুরের ধার থেকে উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। ওই পুকুরের মালিক মাছ চুরি আটকাতে বেআইনিভাবে পুকুরের চারপাশ বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের! তেমনই মনে করা হয়েছে। মৃতের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিদ্যুতের শক দিয়ে ছেলেকে ‘খুন’ করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। মৃতের নাম শেখ সেলিম (২০)।
জানা গিয়েছে, দাঁতন থানার আনিকোলা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ষড়রঙ্গ এলাকায় বাড়ি শেখ সেলিমের। গতকাল সন্ধের পর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। আশপাশে খোঁজ করলেও কোনও সন্ধান মেলেনি বলে দাবি পরিবারের। আজ, শনিবার সকালে এলাকারই একটি পুকুরের ধারে শেখ সেলিমের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই পুকুরে মাছ চাষ করা হয়। মাছ চুরি আটকাতে মালিক পুকুরের চারদিক বেআইনিভাবে বিদ্যুৎবাহী তার দিয়ে ঘিরে রাতে বিদ্যুৎসংযোগ করে রাখেন বলে অভিযোগ। অন্ধকারে সেই তার যুবকের পায়ে জড়িয়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
মৃত যুবকের মা নাসিমা বিবি বলেন, “আমার ছেলেকে কারেন্টের শক দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।” এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এদিন সকালে রীতিমতো উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খবর পেয়ে দাঁতন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। উত্তেজিত বাসিন্দারা মৃতদেহ উদ্ধারের কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশ আলোচনার ভিত্তিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তদন্ত নেমে পুকুর মালিকের পরিবারের তিনজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে পুকুরের মালিক পলাতক। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এভাবে খোলা আকাশের নিচে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে দেওয়া পুরোপুরি বেআইনি ব্যাপার। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ হলে সেই মতো মামলা দায়ের করা হবে।” ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।