• হুঁশিয়ার! উৎসবের মরশুমে দুষ্কৃতীরাজ ঠেকাতে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের
    প্রতিদিন | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া:সামনেই উৎসবের মরশুম। এই সময় অনেকেই ফাঁকা বাড়ি ছেড়ে পুজোর কেনাকাটা করতে কিংবা ঠাকুর দেখতে যান। ফলে ফাঁকা বাড়ি সবসময় চোরেদের টার্গেটে থাকে। কেউ না থাকার সুযোগে অবাধ লুঠপাটও চলে। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে ছোটখাটো ছিনতাইয়ের ঘটনা তো আছেই, যা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ায় পুলিশের। এবার সেগুলো রুখতে পাড়ায় পাড়ায় ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ। এমনকী গ্রামের এঁদো গলির ভিতরে ঢুকেও চলছে পুলিশের এই ‘অভিযান’!

    ভাবছেন তো, পুলিশও এবার ড্রোন, মিসাইল নিয়ে ‘শত্রুপক্ষে’র উপর হামলা চালাবে নাকি? না তেমনটা নয়। এলাকায় একেবারে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই রুখতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ‘স্ট্রাইক’ হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের। তবে হাতে নেই কোনও ‘সমরাস্ত্র’! একেবারে সাইকেলে চেপেই গ্রামের ভিতরে এঁদো গলি, তস্য গলির ভিতরে ঢুকে পড়ছেন পুলিশকর্মীরা।

    আর সেখানেই চলছে ‘চুন চুন’কে চোর, ডাকাত, ছিনতাইবাজদের ধরার চেষ্টা। কিন্তু কীভাবে এই অভিযান চলছে? সম্প্রতি এই উদ্যোগ নিয়েছে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ। দিন দশেক ধরে পাড়ায় পাড়ায় এই সাইকেলে চেপে বিশেষ এই অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই অভিযানকে সফল করতে বিভিন্ন থানা থেকে চার পাঁচ জন করে পুলিশকর্মীকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি টিম। আর এই টিমই আঁধার নামতেই ‘শত্রু’কে চিনে নিতে বেরিয়ে পড়ছে।

    শুধু উৎসবের দিনগুলিই নয়, সামনেই শীত। ঠাণ্ডা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চুরি, ডাকাতির ঘটনাও এলাকায় বাড়ে। ছিঁচকে চোরদের উৎপাত, আবার কখনও কখনও বড় গ্যাংও ফাঁদ পাতে এলাকায়। এখানেই শেষ নয়, অতীতে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা গৃহস্থদের মারধর করে বড়সড় ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে এলাকায়। যা রীতিমতো গ্রামের মানুষের কাছে চিন্তার কারণ। শুধু গ্রামের মানুষের কাছেই নয়, এলাকায় অপরাধ থামানোটাও চ্যালেঞ্জের স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে। আর তাই এবার আগে থেকেই একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে পুলিশ।

    হাওড়া গ্রামীণ এলাকার পুলিশ সুপার সুবিমল পাল জানিয়েছেন, ”বড় রাস্তায় চোরদের ধাওয়া করা বা ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছনো পুলিশের পক্ষে সহজ। কিন্তু গ্রামের ভিতরের এলাকায় চুরি হলে, সেখানে গাড়িতে করে পৌঁছানো অনেক কঠিন।” ওই পুলিশ কর্মীর কথায়, ”তাই এই ধরনের সাইকেলে করে এলাকায় এলাকায় যাওয়ার উদ্যোগ। এতে একেবারে গ্রামের ভিতরে পৌঁছে চোর, ডাকাত, ছিনতাইবাজদের ধাওয়া করা যেতে পারে বা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোখা যেতে পারে।” এতে পুলিশের উপর মানুষের ভরসা আরও বাড়বে। সাধারণ মানুষও নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারবেন বলেও দাবি হাওড়া গ্রামীণ এলাকার পুলিশ সুপার সুবিমল পালের।

    অন্যদিকে বাগনান থানার আইসি অভিজিৎ দাস বলেন, ”আমাদের থানাতেও এই অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে দুটি জায়গাতে গিয়েছি। এসপি স্যারের তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশেই এটা হচ্ছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)