স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি পুরসভার ২৬নম্বর ওয়ার্ডের সাধুর বাগান এলাকায় ইমারতের ব্যবসা রয়েছে চিন্তারানি দেবীর। ২০১৬ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ওই ব্যবসার হাল ধরেন তিনি। গত ২৯ আগস্ট দুপুরে তাঁর দোকানের সামনে সিমেন্টের স্ল্যাব ভেঙে, জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়ের বিরুদ্ধে। কারণ জানতে চিন্তারানি দেবী একাধিকবার কাউন্সিলরের কাছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সদুত্তর পাননি বলে অভিযোগ। উপায় না দেখে শেষপর্যন্ত পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে চিন্তারানী দেবী বলেন, “দুপুরে দোকান বন্ধ করার পর কাউন্সিলর সদলবলে এসে পে লোডার দিয়ে অর্ধেক স্ল্যাব ভেঙে দিয়েছেন। সঙ্গে জলের লাইনও কেটে দিয়েছে। এই নিয়ে আমাকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি, জানানোও হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “২০১৩ সালে স্ল্যাবটি আমার স্বামী তৈরি করেছিলেন। আমার দোকানের পাশে আরও অনেক দোকানি নিজেদের উদ্যোগে নর্দমার উপর স্লাব বানিয়েছেন। সেসব ভাঙা পড়েনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার দোকানের সামনের স্লাবটি ভাঙা হল। এনিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে তিনবার কথা বলতে গিয়েছিলাম। তখন উল্টে উনি বলেছেন, ভাঙার জন্য জেসিবির ভাড়া আমাকে দিতে হবে।”
স্ল্যাব ভাঙার সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে। সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে শেষপর্যন্ত ময়দানে নামতে হয়েছেন পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে-কে। তিনি বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনা যাচাই করে আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে সমস্যার সমাধান করবো। সোমবার অভিযোগকারী ও কাউন্সিলরকে ডেকে এনিয়ে কথা বলব।” তিনি আরও বলেন, “জলের লাইন এভাবে কাটা যায় না। মনে হয় জেসিবি দিয়ে কাজের সময় কোনও ভাবে জলের লাইন কেটে গিয়েছে। সেই জলের লাইন ইতিমধ্যেই জুড়ে দিতে বলেছি।”