কাশী বিশ্বনাথের পুরোহিতরা এবার রাজ্য সরকারের কর্মী, বেতন বেড়ে ৯০ হাজার টাকা
বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
লখনউ: সরকারি কর্মীর মর্যাদা পাচ্ছেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পুরোহিত ও বাকি কর্মীরা। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে বেতনও। এতদিন পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করতেন পুরোহিতরা। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ টেম্পল ট্রাস্টের কথায়, এবার সেই বেতনের পরিমাণ হবে ৯০ হাজার টাকা। আর এই বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই যোগীরাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধী শিবিরের কথায়, সরকারের তরফ থেকে কোটি কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি বিলি করা হচ্ছে। অথচ, দিন দিন বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। শাসক দল বিজেপির প্রতিশ্রুতিভঙ্গের শিকার হাজার হাজার তরুণ-তরুণী। এই পরিস্থিতিতে মন্দিরের পুরোহিতদের বেতন প্রায় এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি। মোদি জমানায় ‘এটাই বিকশিত ভারত’।
১৯৮৩ সালে ওই মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার। মন্দির কর্তৃপক্ষের একাংশের কথায়, দেশের অন্যতম বড় মন্দির হওয়া সত্ত্বেও কাশী বিশ্বনাথের পুরোহিত ও কর্মচারীদের নিয়ে এতদিন তেমন কোনও ভাবনা-চিন্তা করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মীর মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। এবার সেই দাবি পূরণ হল। শেষমেশ সরকারী কর্মীর মর্যাদা মিলল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১০৮ তম বৈঠকে মন্দির ট্রাস্টের তরফে আরও কয়েকটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বৈদিক এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন তৈরি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ আরও একাধিক বিষয় রয়েছে। প্রসঙ্গত, তেলেঙ্গানায় নোটিফায়েড মন্দিরগুলির পুরোহিতদের রাজ্য সরকারের একটি নির্দিষ্ট বিভাগের আওতায় গণ্য করা হয়। সেইমতো বেতনও দেওয়া হয়। তবে দেশের অধিকাংশ মন্দিরেই পুরোহিতদের জন্য এমন কোনও ব্যবস্থা নেই। তা নিয়েই কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, মোদি শাসনে সবই সম্ভব। ধর্মের নামে যে আড়ম্বর শুরু হয়েছে, তার কাছে আম জনতার, শিক্ষিত বেকারদের দাবিও অতি তুচ্ছ বিষয়।