মোদির হুঙ্কার সত্ত্বেও অনুপ্রবেশের চেষ্টা থামেনি, উদ্বেগ সেনাপ্রধানের, ১০ মের পরও যুদ্ধ জারি ছিল, দাবি জেনারেল দ্বিবেদীর
বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে হামলাকারী জঙ্গি ও তাদের পাকিস্তানি প্রভুদের মাটিয়ে মিশিয়ে দিয়েছি। ‘অপারেশন সিন্দুর’ পাকিস্তানি সন্ত্রাসের কোমর ভেঙে দিয়েছে। দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অথচ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের সুর স্বয়ং সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর কণ্ঠে। শুক্রবার দিল্লির মানেকশ সেন্টারে বইপ্রকাশের এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুরে’র প্রভাব আঞ্চলিকভাবে ঠিক কতটা, তা নিয়ে এখনই হলফ করে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু কেন এই উপলব্ধি? রাখঢাক না করে জেনারেল দ্বিবেদীর প্রশ্ন, ‘রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট (পাকিস্তানের) সন্ত্রাসবাদ থেমেছে? আমার তা মনে হয় না। কারণ, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও চলছে। কতজন জঙ্গিকে আমরা খতম করেছি, আর কতজন পালিয়েছে— সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই খবর হয়েছে।’
অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধিঁলোর লেখা ‘অপারেশন সিন্দুর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অব ইন্ডিয়া’স ডিপ স্ট্রাইকস ইনসাইড পাকিস্তান’ শীর্ষক বইপ্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল দ্বিবেদী। সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়ে সেই অনুষ্ঠানে উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গেই ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়েও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তিনি। সেনাপ্রধান বলেন, ‘আপনারা হয়তো ভাবছেন ১০ মে যুদ্ধ থেমে গিয়েছিল। না, থামেনি। কারণ, তার পরও দীর্ঘ সময় তা জারি ছিল। বহু সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনও বাকি। সেগুলি কী, তা এখানে বলাটা আমার পক্ষে কঠিন।’ উল্লেখ্য, ৭ মে অপারেশন সিন্দুরে পাক ভূখণ্ডে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পরে তা দু’দেশের সংঘাতে গড়ায়। ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সেনা প্রধানের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বইপ্রকাশের এই অনুষ্ঠান থেকেই সশস্ত্র বাহিনীগুলির সংযুক্তিকরণ বা ‘থিয়েটারাইজেশনে’র পক্ষে সওয়াল করতেও দেখা যায় তাঁকে। সেনাপ্রধান বলেন, নিশ্চিতভাবেই তিন বাহিনীর সংযুক্তিকরণ হবে। একমাত্র দেখার, সেটা কতদিনে বাস্তবায়িত হয়।