• মুম্বইতে মানববোমা হামলার হুমকি, পুলিসের জালে অভিযুক্ত জ্যোতিষী, বন্ধুকে ফাঁসাতে চক্রান্ত, নয়ডা থেকে ধৃত
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নয়ডা: গণপতি উৎসব শেষে বিসর্জনের দিন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠবে মুম্বই। মজুত রয়েছে ৪০০ কেজি আরডিএক্স। ৩৪টি গাড়িতে প্রস্তুত মানববোমা। বাণিজ্যনগরীতে ঢুকে পড়েছে ১৪ জন পাকিস্তানি জঙ্গি। বৃহস্পতিবার মুম্বই ট্রাফিক পুলিসের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এমনই মেসেজ আসে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হুমকি মেসেজের নেপথ্যে থাকা অভিযুক্তকে নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃত অশ্বিনী কুমার পেশায় একজন জ্যোতিষী। তাঁর বাড়ি  পাটনা। তবে গত পাঁচ বছর ধরে নয়ডার সেক্টর ৭৯-এ থাকেন তিনি। বছর দুয়েক আগে বন্ধুর জন্য জেল খাটতে হয়েছিল অশ্বিনীকে। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বন্ধুকে ফাঁসাতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।

    লস্কর-ই-জেহাদির নামে পুলিসের কাছে মেসেজ এসেছিল। তড়িঘড়ি মুম্বইজুড়ে তল্লাশি শুরু হয়। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা শহর। তদন্তে নামে অপরাধ দমন শাখা। শেষমেশ নয়ডায় বার্তা প্রেরকের হদিশ মেলে। এরপর নয়ডার পুলিস কমিশনার লক্ষ্মী সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুম্বই পুলিস। দ্রুত ঘটনাস্থলে রওনা দেয় নয়ডা পুলিসের একটি বিশেষ টিম। স্থানীয় গোয়েন্দাদের সাহায্যে ও একটি মুদি দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অশ্বিনীকে পাকড়াও করা হয়। পরে তাঁকে মুম্বই পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযানে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অশ্বিনীকে সিমকার্ড দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তিনি।

    ধৃতকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, ব্যক্তিগত আক্রোশের বশেই এই কাজ করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে অশ্বিনীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তাঁর এক বন্ধু। এর জেরে তাঁকে তিন মাস জেল খাটতে হয়েছিল। জেল থেকে বেরনোর পর থেকেই ছক কষছিলেন অশ্বিনী। কীভাবে প্রতিশোধ নেওয়া যায়, সেই ফন্দি আঁটছিলেন। তাই বন্ধুর নামেই মুম্বই পুলিসকে ভুয়ো হুমকি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
  • Link to this news (বর্তমান)