• পাঞ্জাবে বন্যা, ইরাবতীর জলে পাকিস্তান সীমান্তে ভেসে গেল ৩০ কিমি কাঁটাতার
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • চণ্ডীগড়: ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত পাঞ্জাব। ইরাবতীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ভারত-পাক সীমান্তের প্রায় ৩০ কিমির কাঁটাতার।  চলতি বিপর্যয়ে সীমান্ত লাগোয়া একাধিক চেকপোস্ট খালি করেছে বিএসএফ। সরানো হয়েছে যাবতীয় জিনিসপত্র। বিএসএফ পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে বিদ্যার্থীর কথায়, ‘গুরুদাসপুরে ৩০ থেকে ৪০টি সীমান্ত আউটপোস্ট জলের তলায়। সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুরুদাসপুর, অমৃতসর ও ফিরোজপুরে প্রায় ৩০ কিমির কাঁটাতার ভেসে গিয়েছে।’ এই অবস্থায় সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে মাদক পাচারকারীরা। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী সেই সব তৎপরতা ভেস্তে দিয়েছে। কড়া নজরদারির পাশাপাশি চলছে উদ্ধারকাজ। এদিকে, শনিবার হিমাচল প্রদেশের চৌকর গ্রামের কাছে ধসে পড়ে পাহাড়ের একাংশ। প্রশাসনের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে যান পাঁচজন। সিরমৌরের নৌরাধারে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে মাটি ও পাথর ধেয়ে আসার ভয়াবহ দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরাতে। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর দেবলসারি এলাকায় এদিন ফের হড়পা বান নামে। ঘটনার খবর মিলতেই পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    গত কয়েকদিন ধরেই বন্যা ও প্রবল বর্ষণে বিধ্বস্ত পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকা। জলের তলায় বিঘের পর বিঘে জমি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৬। এক লক্ষ ৭৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের খালি করা চেকপোস্টে আশ্রয় নিচ্ছেন বাসিন্দারা। বন্যার জল বাড়তে থাকায় অমৃতসরের কমলপুরে পোস্ট খালি করেছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেই খালি আউটপোস্টেই আশ্রয় নিয়েছে শাহজাদা গ্রামের এক অসহায় পরিবার। কর্তারপুর সাহিবের কাছে থাকা আউটপোস্টও জলমগ্ন। সেখানকার জওয়ানরা বর্তমানে ডেরা বাবা নানকের গুরুদ্বার দরবার সাহিবে ঠাঁই নিয়েছেন। ইরাবতীর তাণ্ডবে ভারতের পাশাপাশি বিপদের মুখে পড়েছে পাকিস্তানও। এক বিএসএফ আধিকারিকের কথায়, ‘জিরো লাইনের দু’দিক প্লাবিত করেছে ইরাবতী নদী। পাক রেঞ্জার্সও বেশকিছু পোস্ট খালি করতে বাধ্য হয়েছ।’

    বিএসএফ জানিয়েছে, ফিরোজপুর থেকে ইতিমধ্যে দেড় হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত স্বাস্থ্য শিবির চালানো হচ্ছে। তবে আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস না থাকায় স্বস্তিতে প্রশাসন। আগামী তিনদিনে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)