নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ লাগোয়া চা বাগানে তরুণ-তরুণীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে তা ভাইরালের চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার জলপাইগুড়িতে। অভিযোগ, এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে শনিবার ওই চা বাগানে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক ছাত্রকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। মোবাইল ফোনে সেই ছবি ও ভিডিও তুলে তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। এনিয়ে ওই তরুণী এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রের সঙ্গে বাকিদের বচসা বাধে। পরে তা ধস্তাধস্তির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ওই ছাত্র ফোনে বিষয়টি তাঁর কলেজের সহপাঠীদের জানিয়ে দেন। ফোন পেয়ে কলেজের হস্টেল থেকে একদল ছাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে যারা ছবি তুলছিল, তাদের হাতেনাতে পাকড়াও করেন। শুধু তাই নয়, তাদের টানতে টানতে কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। কলেজ রুমে আটকে রেখে তাদের উত্তমমধ্যম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিস। আসেন কলেজের কয়েকজন অধ্যাপকের পাশাপাশি অধ্যক্ষ। এদিকে, পড়ুয়াদের জমায়েতের কারণে প্রথমে কলেজে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিসকে। বাড়তি বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে কলেজ রুমে আটকে রাখা তিন যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিস। যদিও রাত পর্যন্ত ঘটনায় পুলিসে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, চা বাগানে তরুণ-তরুণীর ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। যারা ছবি তুলছিল, তাদের পাকড়াও করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে আটকে রাখে কিছু ছাত্র। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, কলেজের বাইরের ঘটনা। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। বিষয়টি শোনার পরই আমি কলেজে পৌঁছই। ছাত্রদের বোঝানো হয়েছে। যে ঘটনাই ঘটে থাকুক না কেন, আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া যে ঠিক নয়, তা বলা হয়েছে তাদের।