বাইরে থেকে দরজা দিয়ে পুরুলিয়ায় পরপর তিনটি বাড়িতে চুরি, চাঞ্চল্য
বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: পরপর তিনটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় পুরুলিয়া মফ্ফসল থানার বেলমা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গৃহকর্তাদের ঘরে বন্দি রেখে, বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রের জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বেলমার বাসিন্দা ধনঞ্জয় পরমানিক, ধীরেন রজক এবং মুসলেম আনসারির বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ধীরেনবাবু ও মুসলেম সাহেবের বাড়ি পাশাপাশি। আর ধনঞ্জয়বাবুর বাড়ি সেখান থেকে কিছুটা দূরে।
পুলিস জানিয়েছে, ওইদিন রাতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন ধনঞ্জয়বাবু। বাড়ির অন্যঘরগুলি তালা দেওয়া ছিল। অভিযোগ দুষ্কৃতীরা ধনঞ্জয়বাবুর বাড়িতে ঢুকে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অন্য ঘরগুলির তালা ভেঙে দু’টি টিনের বাক্স নিয়ে পালায়। রাত ১টা নাগাদ ধনঞ্জয়বাবুর ঘুম ভাঙলে তিনি দরজা খুলতে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে বন্ধ করা। তিনি চিত্কার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুললে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর বাড়িতে লুটপাট হয়েছে। যদিও দুষ্কৃতীরা টিনের বাক্স দু’টি একটি পুকুর পাড়ে ফেলে দিয়ে যায়। ধনঞ্জয়বাবুর দাবি ওই বাক্সে একজোড়া কানের দুল ও রুপোর তোড়া ছিল। তা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ধীরেনবাবু বাড়িতেও একই কায়দায় চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে বৃদ্ধ ধীরেনবাবু ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন। ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। বউমা বাপেরবাড়ি গিয়েছেন। ধীরেনবাবু যে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন সেটি বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর অন্য ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙে নগদ প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি টাকা ও লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। ধীরেনবাবুর প্রতিবেশী মুসলেম সাহেব সস্ত্রীক মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা ও গয়না খোয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন মুসলেম সাহেব।
সকাল হতেই একই গ্রামে তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মফ্ফসল থানার পুলিস। কার বাড়ি থেকে কী কী খোয়া গিয়েছে, তা লিপিবদ্ধ করে পুলিস। তিনটি বাড়িতে লুটের ঘটনায় একই গ্যাং জড়িত বলে অনুমান করছে পুলিস। পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।