• রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিএসপিতে টাকা জমা করে প্রতারণার শিকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: হলদিয়ার দুর্গাচকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে(সিএসপি) টাকা জমা করতে গিয়ে বড়সড় প্রতারণার শিকার হলেন পুরসভার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। গ্রুপ লোনের কিস্তি শোধ করার প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। তাঁরা দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। শনিবার ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে হলদিয়া মহকুমা আদালতে প্রতারণার মামলাও করেছেন। দুর্গাচকের এসডিও অফিস সংলগ্ন ওই সিএসপির বিরুদ্ধে পুরসভার একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের লোনের কিস্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকুরখালি এলাকার নন্দিতা ও মায়া নামে দু’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ব্যাঙ্কের শাখায় টাকা রাখতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। দুর্গাচকে স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখার অধীনে থাকা সিএসপির বিরুদ্ধে ওই প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। দু’টি গ্রুপের মহিলারা এসডিও অফিস সংলগ্ন একটি সিএসপিতে লোনের কিস্তি শোধ করার টাকা জমা করতেন। অভিযোগ, সিএসপির মালকিন সেই টাকা ব্যাঙ্কে জমা না করে হাতিয়ে নিয়েছে। লোনের টাকা শোধ না হওয়ায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই দু’টি গ্রুপকে ফোন করে ডেকে পাঠায়। তখনই খোঁজ করতে গিয়ে গ্রুপের মহিলাদের নজরে আসে বিষয়টি। 

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝিকুরখালির ওই দু’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্কের বাসুদেবপুর শাখা। নন্দিতা গ্রুপের নেত্রী মৌমিতা মিস্ত্রি এবং মায়া গ্রুপের নেত্রী মানুয়ারা বিবিকে ওই ঋণ দেওয়া হয়। এক বছরের মধ্যে ১০টি কিস্তিতে ব্যাঙ্ককে ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। গ্রুপের মহিলারা বলেন, দু’টি গোষ্ঠীর কুড়িজন মহিলা গতবছর আগস্ট মাসে ওই ঋণ পেয়েছি। 

    মৌমিতার দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে সিএসপিতে লোন পরিশোধের কিস্তির টাকা জমা করার পরামর্শ দিয়েছিল। সেই থেকে গ্রুপের মহিলাদের টাকা দুর্গাচকে এসডিও অফিসের গেট সংলগ্ন স্টেট ব্যাঙ্কের সিএসপিতে জমা করা হচ্ছে। এবার দু’টি গ্রুপের লোনের প্রতি কিস্তির ৫৩হাজার ৯০০টাকা করে মোট ১লক্ষ ৭হাজার ৮০০টাকা জমা করেছি কয়েক মাস। ইতিমধ্যেই আট কিস্তিতে মোট ৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৪০০ টাকা ওই সিএসপিতে জমা পড়েছে। অথচ জুলাই মাসে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়, লোনের কোনও কিস্তি ব্যাঙ্কের বাসুদেবপুর শাখায় জমা পড়েনি। ওই সিএসপির অনুমোদন বাতিল হয়েছে বলে জানায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই।

    জানা গিয়েছে, এক মহিলা ওই সিএসপি পরিচালনা করতেন। গ্রুপের মহিলাদের দাবি, সিএসপির ওই মহিলা প্রথমে টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তারপরই বেপাত্তা হয়ে যায়। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগে কুমারচক এলাকার একটি গ্রুপের একইভাবে তিন লক্ষ টাকা উধাও হয়েছে ওই সিএসপিতে। 
  • Link to this news (বর্তমান)