শান্তনু ঠাকুরের দেওয়া হিন্দুত্বের শংসাপত্র স্ক্যান করলে মোদি-শাহের ছবি, তাঁরাই ধর্মের পুরোধা? প্রশ্ন তৃণমূলের
বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বনগাঁ: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ক্যাম্প করে দেওয়া হচ্ছে ‘হিন্দুত্ব’ সার্টিফিকেট। আর তাতে থাকা ‘বারকোড’ স্ক্যান করলেই দেখা মিলছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের হাসিমুখের ছবি। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাহলে কি হিন্দুধর্মের ‘পুরোধা’ এখন মোদি-শাহ, প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে বিঁধলেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। পাশাপাশি এই ধর্মীয় কার্ডের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন গোপাল। পাশাপাশি তাঁর দাবি, টাকার বিনিময়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন মন্ত্রী।
বিহারের পর বাংলায় এসআইআর’র পক্ষে সওয়াল করছেন বিজেপির ছোট-বড় নেতারা। এই আবহে ময়দানে নেমে পড়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। বাগদা থেকে গোপালনগর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় নাগরিকত্ব আবেদনের ক্যাম্প শুরু হয়। শান্তনু নিজেও প্রথমে বাসভবনের সামনে ও পরবর্তীতে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির নাট মন্দিরে ক্যাম্প শুরু করেন। এদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে মতুয়া কার্ড ও হিন্দু ধর্মের শংসাপত্র সংগ্রহে ঠাকুর বাড়িতে মতুয়াদের ভিড় বাড়ছে। তা থেকে সৃষ্ট উদ্বেগ থেকে অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। তার জেরেই পাগল, গোঁসাই, দলপতি সহ সাধারণ মতুয়াদের পাশে নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের দেওয়া ‘বারকোড’ সহ হিন্দুত্বের শংসাপত্র নিয়ে সরব হন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। তিনি বলেন, হিন্দুধর্মের শংসাপত্র কে দেবেন? কারও জানা নেই। ধর্মের শংসাপত্র সংক্রান্ত কোনও নিয়ম দেওয়া নেই সিএএ-তে। তাসত্ত্বেও বারকোড দেওয়া শংসাপত্র টাকার বিনিময়ে মতুয়াদের দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। বারকোড স্ক্যান করলেই দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের ছবি উঠে আসছে। নাগরিকত্বের নাম করে মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাই শান্তনুর সাংসদ পদ খারিজ হওয়া উচিত। তিনি আরও বলছেন, উদ্বাস্তু মতুয়াদের নাম নথিভুক্ত করে আসলে তাদের নামই কাটার চেষ্টা করছেন শান্তনু ঠাকুর। এটা আসলে মারণফাঁদ মতুয়াদের জন্য। এই প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে, এই প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন গায়েন বলেন, সত্যতা যাচাই করার জন্য শংসাপত্রে বারকোড দেওয়া হয়েছে। গোপাল শেঠের এটা নিয়ে কেন এত মাথাব্যথা, জানি না।