ট্রেনের টিকিট পরীক্ষার সময় আবার আক্রান্ত পরীক্ষক। আবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এ বার বারুইপুর রেলস্টেশন। অভিযোগ, টিকিট দেখতে চাওয়ায় মহিলা টিকিট পরীক্ষকের (টিটিই) মুখে গরম ঘুগনি ছুড়ে মারেন এক যাত্রী। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বারুইপুর স্টেশনে।
আর ছ’টা দিনের মতো শনিবার সকালেও শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বারুইপুর জংশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল আপ বারুইপুর লোকাল। ট্রেনের মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় টিকিট পরীক্ষা করতে ওঠেন টিটিই পূজা কুমারী। তাঁর দাবি, একে একে সকলে টিকিট দেখাচ্ছিলেন। সেই সময় এক যাত্রী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে আসনে বসে ঘুগনি খাচ্ছিলেন। তাঁদের পাশে বসা কয়েক জন যাত্রী অভিযোগ করেন, ওই দু’জন সুভাষগ্রাম স্টেশন থেকেই সিট দখল করে বসে আছেন। তখন তিনি দুই যাত্রীর টিকিট দেখতে চান। ‘দিচ্ছি’ বলে তাঁর মুখে একজন গরম ঘুগনি ছুড়ে মারেন। হতচকিত হয়ে পড়েন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গরম ঘুগনি চোখেমুখে পড়ে প্রচণ্ড জ্বালা করতে থাকে। ঘটনার আকস্মিকতায় এবং কষ্টে তিনি আর্তনাদ করে ওঠেন। চোখমুখে বিভৎস জ্বালা হচ্ছিল তাঁর। তবে ওই অবস্থাতেই চোখমুখ মুছে অভিযুক্তকে ট্রেন থেকে নামিয়ে আনেন।
চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তত ক্ষণে প্ল্যাটফর্মের ওই জায়গায় আরপিএফ জওয়ানেরা পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা অভিযুক্ত যাত্রীকে আটক করে নিয়ে যান।
রেল সূত্রে খবর, ওই যাত্রীর নাম সাইদা বিবি। বাড়ি সুভাষগ্রামে। তাঁর কাছে সুভাষগ্রাম থেকে শিয়ালদহে যাওয়ার একটি টিকিট ছিল। কিন্তু বারুইপুরে আসার টিকিট কাটেননি। বারুইপুর আরপিএফ অভিযুক্তকে জিআরপি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, আক্রান্ত টিকিট পরীক্ষক বারুইপুর জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে। সাইদা ভুল স্বীকার করেছেন। বলেছেন, গর্হিত অপরাধ করেছেন। আর কোনও দিন বিবির এমন করবেন না। যদিও পূজা তাঁর আইনত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
কিছু দিন আগে একই রকমের ঘটনা ঘটেছিল ক্যানিং স্টেশনে। ডাউন বালিগঞ্জ-ক্যানিং লোকাল ক্যানিং স্টেশনে ঢোকার পরে টিকিট পরীক্ষা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন আর এক মহিলা টিটিই। তনুশ্রী রায় নামে ওই টিকিট পরীক্ষকের গলা টিপে ধরেছিলেন বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠা এক যাত্রী।