সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার সীমান্তে বিএসএফ পাচার ঠেকাতে ব্যর্থ বলে বারবার তথ্যপ্রমাণ সামনে এনে অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সঙ্গে তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের যোগসাজশেই সীমান্তে পাচারের কাজ চালিয়ে বাংলাকে বদনাম করার অপচেষ্টা করে চলেছে বিজেপি। তাদের এই দাবি যে সত্যি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের প্যাডে তাঁরই সই করা নথি সামনে এনে দেখিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে স্পষ্ট সীমান্ত দিয়ে গোমাংস পাচারে বিএসএফকে নির্দেশ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। দলের মুখপাত্র সুদীপ রাহা এই পোস্টটি প্রথমে সামনে আনেন। যাতে কেন্দ্রীয় জাহাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্বাক্ষর করা কাগজটি রয়েছে। সেটি একটি ছাড়পত্র, যার মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ বিএসএফকে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেটিই ভাইরাল হয়েছে। সুদীপ নিজের সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘গরুর নামে ভোটের সময় হইচই, মানুষকে হুমকি-ধমকি, ধর্মীয় বিভাজন- এসব করে বিজেপির আসল চরিত্র দেখুন! কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্বাক্ষরিত কাগজে স্পষ্ট করে লেখা আছে বাংলাদেশে গরুর মাংস পাঠানোর অনুমতি।’ সুদীপ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এটাই কি বিজেপির গোমাতা রক্ষা? ভোটের সময় গরু নিয়ে ভণ্ডামি, আর পর্দার আড়ালে গরুর মাংসের ব্যবসা? যে হাতে এই কাগজে সই করেছেন শান্তনু, সেই হাতে ঠাকুরবাড়ির দরজা ঠেলে ঢোকেন? ছিঃ!’
এর পরই সরব হন দলের রাজ্য নেতারা। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও সেই ছাড়পত্র পোস্ট করেন। সঙ্গে তিনটি প্রশ্ন রাখেন। লেখেন, ‘এটা কী? ১) এই চিঠি আসল না নকল? ২) যদি আসল হয়, তাহলে বিজেপির শান্তনু ঠাকুর গরুর মাংস রপ্তানির চিঠি দিলেন কেন, যেখানে ওঁরা মুখে বিরোধিতা করেন। ৩) বিএসএফ-কে চিঠি দিয়ে পারাপারের সুপারিশের উনি কে? এভাবেই বিজেপি বাংলাদেশ সীমান্ত চালায়?’ এদিন কেন্দ্রের সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন কুণাল। যে গোমাংস বাংলার সীমান্ত দিয়ে পাচারের অভিযোগ তুলে বারবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় এসে সরব হয়েছেন, এবার সেখানেই রীতিমতো সরকারি সিলমোহর দিয়ে গোমাংস পাচারে কেন্দ্রের বিজেপির মন্ত্রী ও বিএসএফের যোগ স্পষ্ট হল।
তৃণমূল যে অভিযোগ বারবার করে তাই কার্যত প্রমাণ হল। তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে সুদীপের প্রশ্ন, ‘গরুর নামে নোংরা রাজনীতি করে মঞ্চে চেঁচামেচি, আর গোপনে ব্যবসা করে পকেট ভর্তি। তা আর কী-কী রপ্তানি করান শান্তনু ঠাকুর?’