• ৭৩ জন চিকিৎসকের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের আবেদন খারিজ
    আনন্দবাজার | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ব্যক্তিগত বা বেসরকারি চেম্বারে রোগী দেখতে হলে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিতে হয় সরকারি চিকিৎসকদের। কিন্তু তার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও অনেকেই তা মানেননি বলে অভিযোগ উঠল। এমনই ৭৩ জন চিকিৎসকের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ‘নো-অবজেকশন’ সার্টিফিকেটের আবেদন খারিজ করে দিল স্বাস্থ্য দফতর।

    দিনকয়েক আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা দু’টি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে মেডিসিন, স্ত্রীরোগ, নাক-কান-গলা, শিশুরোগ, অস্থি-সহ বিভিন্ন বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার, জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার পদে থাকা ৭৩ জন চিকিৎসকের নাম রয়েছে। তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মহকুমা, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কর্মরত। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ১৯৯৩ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য চাকরিতে যোগদান, পদোন্নতি ও বদলির সময়ে চিকিৎসকদের ছাড়পত্র নিতে হয়। সম্প্রতি এই বিষয়ে নির্দিষ্ট ফরম্যাট পূরণ করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। তাতেই স্বাস্থ্যকর্তাদের পর্যবেক্ষণ, বহু চিকিৎসক সেই নিয়ম ঠিক মতো মানেননি। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে রোগী দেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্‌থ সার্ভিসে থাকা ওই ৭৩ জন চিকিৎসক নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়পত্র নেননি। চাকরিতে যোগ দেওয়ার অনেক পরে আবেদন করেছেন। তাই তাঁদের আবেদন খারিজ করা হয়েছে।’’ ওই চিকিৎসকেরা আবার যখন পদোন্নতি পাবেন বা বদলি হবেন, তখন প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ছাড়পত্রের আবেদন করতে পারবেন।

    কিন্তু প্রশ্ন হল, সরকারি নিয়ম থাকলেও কার্যত সেটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এত দিন কী ভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছিলেন এক শ্রেণির চিকিৎসক? শুধু তা-ই নয়, কাজের সময়েও হাসপাতালের দায়িত্বে ফাঁকি দিয়ে সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ কী ভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন? এই সমস্ত বিষয়ে কোনও নজরদারি নেই কেন? এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘সমস্ত দিক খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হচ্ছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)