‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ (আপাস) কর্মসূচিতে বুথ স্তরে নির্বাচিত কাজগুলির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। তবে সরকারি ভাবে প্রশাসনিক এবং অর্থের অনুমোদন মিললে তবে ওয়ার্ক অর্ডার বা কাজের বরাত দিতে হবে। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, শনিবার জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় আপাসের শিবিরগুলিতে চাহিদা মতো প্রকল্পের বাছাই করছেন আধিকারিকেরা। জেলাশাসকের অনুমোদন পেলে তবে কোনও কাজ গৃহীত হচ্ছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, স্বচ্ছ ভারত মিশন বা জলজীবন মিশনের মতো কেন্দ্রীয় অনুদানভুক্ত প্রকল্পের অর্থ এই খাতে ব্যবহার করা যাবে না। ফলে অর্থের নতুন উৎসের সন্ধান চালাতে হচ্ছে নবান্নকে। জেলা-কর্তাদের একাংশের মতে, সেই উৎস নিশ্চিত হলে এবং টাকা দিলে তবে কাজের বরাত দিতে বলা তাৎপর্যপূর্ণ। টেন্ডার পদ্ধতি কিছুটা সময়সাপেক্ষ হওয়ায় তা এগিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। অর্থের জোগাড় হলে এবং নবান্নের সবুজ সংকেত পেলে তবে কাজের বরাত দেওয়া হবে।
এ দিন জানানো হয়েছে, কিছু জায়গায় বাকি থাকা আবাসের (বাংলার বাড়ি) দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ দ্রুত ছাড়তে হবে। যাঁরা এখনও টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করেননি, তাঁদের দিয়ে তা করাতে হবে। সরকারের পরিকল্পনা, ডিসেম্বরের গোড়ায় অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ উপভোক্তার প্রথম কিস্তির বরাদ্দ চালু করা। তার আগে সব কাজ শেষ করতে হবে। পাশাপাশি, পরিযায়ীশ্রমিকদের যাঁরা ফিরবেন, তাঁদের যাচাই করে শ্রমশ্রী পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে জেলা প্রশাসনগুলিকে। কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্টদের কাজের ব্যবস্থা কী ভাবে করা যায়, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে জেলা-কর্তাদের।