• ফের হুগলিতে স্বপ্নের বুনন, ২৬’এর গোড়াতে মধ্যবিত্তের সাধ্যের ই-কার
    বর্তমান | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: দুর্গাপুজোর বোধনের আগেই এক অন্য বোধন। সেই বোধন বাঙলার ‘একলাখি’ গাড়ি শিল্পের। হুগলির মাটি থেকেই এবার বাস্তবায়িত হবে মধ্যবিত্তের জন্য নিজস্ব, কম পয়সার গাড়ির স্বপ্ন। একলাখি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বাজারে আনছে একটি সংস্থা। বুধবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদের উপস্থিতিতে সেই একলাখি ই-কারের নির্মাণকাজের ঘোষণা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান ছিল চুঁচুড়ার সুগন্ধায়। যা সিঙ্গুর থেকে সামান্য দূরে। সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা আজও বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম হাতিয়ার। ঘটনাচক্রে সানন্দ নয়, সেই হুগলি জেলা থেকেই বঙ্গের গাড়ি শিল্পের শাপমোচনের শঙ্খনাদ হয়ে গেল। সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মধ্যবিত্তের স্বপ্নপূরণের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। দেওয়ালির পর্বেই চারচাকা ই-কারের প্রথম মডেল গাড়িটি আত্মপ্রকাশ করবে। নভেম্বর থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। একলক্ষ টাকা মূল্যের গাড়ি বাজারে আসবে নতুন বছরের জানুয়ারিতেই। পাওয়ার স্টিয়ারিং, চারজনের বসার জায়গা, উন্নত প্রযুক্তি, আরও নানা সুবিধা সহ আধুনিক সময়ের অত্যাধুনিক গাড়ি আসবে আমজনতার হাতের মুঠোয়। এদিন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান ও উজ্জ্বল বিশ্বাসকে পাশে বসিয়ে বাংলার গাড়ি শিল্পের নতুন সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, আধুনিক সময়ের দাবি, ই-কার। বাংলার মাটিতে এবার মধ্যবিত্তের ছোট গাড়ির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। হবে কর্মসংস্থান। শিল্পের নিরিখেও আমরা কয়েক কদম ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার মালিক শান্তনু ঘোষ বলেন, আমরা বিএলডিসি প্রযুক্তির ফ্যান বাজারে এনেছিলাম। যা ব্যাপক চাহিদা তৈরি করেছে। এদিন আমরা ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার উদ্বোধন করেছি। এবার আমাদের প্রকল্প বিএলডিসি মোটর সহ বৈদ্যুতিক গাড়ি। দেওয়ালির পরই আমরা প্রথম মডেল প্রকাশ্যে আনতে পারব। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে বাজারে মিলবে মধ্যবিত্তের ই-বাহন। এনিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতা স্বপন পাল বলেন, রাজ্য সরকারের শিল্প মানে, আমের নামে আমড়া চাষ। সিঙ্গুরে বাংলার মানুষের গাড়ির স্বপ্নকে সমাধি দিয়েছে তৃণমূল। সেই ক্ষতিপূরণ কখনও হবে না। বিরোধীদের নিজস্ব রাজনীতি থাকবেই। কিন্তু সুগন্ধার সাইনোসোর কোম্পানির নতুন থ্রি-হুইলার সাইকেল গাড়ির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। সম্ভবনা উস্কে দিচ্ছে জনতার স্বপ্নের বাস্তবায়নের। ক্ষত নিরাময়ের। কাব্যিক ন্যায়ের মতো তা ঘটতে চলেছে হুগলির মাটি থেকেই।
  • Link to this news (বর্তমান)