কিশোর প্রেমিকের সঙ্গে কাকিমার চুটিয়ে সঙ্গম! নাবালিকা দেখেই বলেছিল, 'বাবাকে বলে দেব', শেষমেশ ভয়ঙ্কর পরিণতি ...
আজকাল | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়িতে তখন অনুষ্ঠান। লোকজনে ভর্তি। ঘরের মধ্যে খেলতে খেলতে একটি নির্জন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল নাবালিকা। সেখানে পৌঁছতেই দেখে, এক কিশোরের সঙ্গে কাকিমা সঙ্গমে লিপ্ত হচ্ছে। সেই মুহূর্তে ঘরে ঢুকে এই দৃশ্য থতমত খেয়ে যায় নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে জানায়, বাবাকে এই বিষয়ে সে সব বলে দেবে। এর জেরেই চরম পরিণতি হল তার।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে। সিকান্দ্রা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ছয় বছর বয়সি এক নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। দুইজনেই পরিকল্পিতভাবে নাবালিকাকে খুন করে।
জানা গেছে, গত বুধবার সকাল দশটা নাগাদ নিখোঁজ হয় উরবি। সেদিন তার বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। সকলেই হুল্লোড়ে মেতেছিলেন। সেদিন সকলের মাঝখান থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয় উরবি। পরদিন রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ির অদূরে এক কুয়ো থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি পাটের ব্যাগের মধ্যে ছিল নাবালিকার দেহ। গলায় পেঁচানো ছিল কাপড়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল।
পুলিশ আধিকারিক অশোক কুমার সিং জানিয়েছেন, নাবালিকা ধৃত মহিলা ও কিশোরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল। দুজনকেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল সে। নাবালিকা এও জানিয়েছিল, সে এই বিষয়ে বাবাকে সব বলে দেবে। অনুষ্ঠান চলাকালীন বাবার কাছে ছুটে গিয়ে বিষয়টি জানাতে যাচ্ছিল নাবালিকা। তখনই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই মহিলা ও কিশোর।
৩০ বছর বয়সি ধৃত মহিলা জানিয়েছেন, গত তিন মাস আগে ১৭ বছর বয়সি কিশোরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেদিন বাড়িতে স্বামী ও শাশুড়ি কেউই ছিলেন না। সেই সুযোগেই কিশোর প্রেমিককে বাড়িতে ডাকে। ফাঁকা বাড়িতে দুজনেই যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিল। সেই মুহূর্তেই ঢুকে পড়ে ওই নাবালিকা। নিষেধ করা সত্ত্বেও সে জানিয়েছিল, বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে দেবে। তখনই তাকে খুন করে মহিলা ও কিশোর। এর পাটের ব্যাগে দেহটি ভরে কুয়োয় ফেলে দেয় তারা।
প্রসঙ্গত, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে গত মাসেই আরও এক ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। স্বামীর ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক যুবতী। বিষয়টি প্রথমে টের পেয়েছিল তাঁর মেয়ে। আপত্তিকর অবস্থায় বাবার বন্ধুর সঙ্গে মাকে দেখে ফেলেছিল সে। ঘটনার ভিডিও তুলে রেখেছিল। সেই ভিডিও দেখিয়েছিল বাবাকে। এরপরই গোটা পরিবার জানতে পারে বিষয়টি।
বধূকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকে বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন স্বামী। কিন্তু তাতে নারাজ ছিলেন বধূ। সেই সম্পর্ক ঘিরে অশান্তির মাঝেই ওই পরিবারের চারজন সদস্য একসঙ্গে আত্মহত্যা করলেন। সকলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন মনোহর লোধি (৪৫), তাঁর মা ফুলরানি (৭০), মেয়ে শিবানী (১৮) ও ১৬ বছরের এক কিশোর। ২৫ জুলাই গভীর রাতে বাড়িতেই চারজন সদস্য একসঙ্গে আত্মঘাতী হন। তাঁদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মনোহরের ছোটবেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন সুরেন্দ্র। মনোহরের বাড়িতে তাঁর নিত্য যাতায়াত ছিল। সেই সুযোগেই মনোহরের স্ত্রী দ্রৌপদীর সঙ্গে সুরেন্দ্রর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ক্রমেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিষয়টি গোপন ছিল। মনোহরের অবর্তমানে প্রায়ই দ্রৌপদীর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন সুরেন্দ্র।
জানা গেছে, ফাঁকা বাড়িতে প্রায়ই তাঁরা যৌনতায় লিপ্ত হতেন। দিন কয়েক আগেই দু'জনকে একসঙ্গে অশ্লীল অবস্থায় দেখে ফেলেন দ্রৌপদীর মেয়ে। সেই মুহূর্তের ভিডিও তুলে রেখেছিলেন। এরপর সেই ভিডিও মনোহরকে দেখান শিবানী। এমন বিশ্বাসঘাতকতার পরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মনোহর। ঘটনাটি কিছুদিনের মধ্যেই মনোহরের মা জানতে পারেন। যা ঘিরেই অশান্তি শুরু হয়। মা ও ছেলে পরিবারের সুনাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাতেও ভেঙে পড়েছিলেন।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে প্রথমেই দ্রৌপদীর সঙ্গে আলোচনা করেন মনোহর। এরপর সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেন তাঁকে। কিন্তু সম্পর্কটি ভাঙতে নারাজ দ্রৌপদী। মনোহরকে সাফ জানিয়ে দেন, সুরেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক তিনি ভাঙবেন না। যদি এই সম্পর্ক ঘিরে অশান্তি হয়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে পণের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন।
এরপর সুরেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলেন মনোহর। সুরেন্দ্রকেও অনুরোধ করেন, দ্রৌপদীর সঙ্গে সম্পর্কটি ভেঙে ফেলার জন্য। কিন্তু সুরেন্দ্র রাজি ছিলেন না। স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও মিথ্যে মামলার হুমকির জেরে চরম পদক্ষেপ করেন মনোহর। ছেলে, মেয়ে ও মাকে নিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই দ্রৌপদী ও সুরেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। ঘটনাটি ঘিরে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।