• বন্যায় বিধ্বস্ত গোটা রাজ্যে, পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পাঞ্জাব সফরে মোদি, কথা বলবেন দুর্গতদের সঙ্গেও...
    আজকাল | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাব সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত এই রাজ্যে গিয়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবেন, তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেবেন এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যালোচনা করবেন। গুরদাসপুরে গিয়ে তিনি মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলে ঘোষণা করেছে বিজেপির পাঞ্জাব শাখা। পাঞ্জাবের রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুনীল ঝাকড় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি শুরু থেকেই বন্যা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা, তাঁদের সমস্যার বাস্তব চিত্র জানা এবং দ্রুত সাহায্যের ব্যবস্থা করা।

    এর আগে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে পাঞ্জাবে পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি কেন্দ্রের দুটি বিশেষ দল ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ঘুরে দেখে রিপোর্ট তৈরি করছে। অবিরাম বর্ষণে পাঞ্জাবের ২৩টি জেলার প্রায় ১,৯০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের হিসাবে প্রায় ১.৭১ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বিশাল এলাকা এখনও জলের তলায়, নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে এবং একাধিক হাইওয়ে জল ও ভূমিধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সফরে অস্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষেতে জমে থাকা পলি পরিষ্কার, রোগ প্রতিরোধ, মৃত পশুদের নিরাপদে অপসারণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে সতলজ, বিয়াস, রাভি ও ঘগ্গর নদীর বাঁধগুলিকে শক্তিশালী করার বিষয়ে, যেগুলি অবৈধ খনন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

    কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপগুলি শুধু অস্থায়ী সমাধান নয়, দীর্ঘমেয়াদে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যও কার্যকর হবে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শুধু পাঞ্জাব  নয়, উত্তর ভারতের অন্যান্য বন্যা-বিধ্বস্ত রাজ্যও সফর করবেন। হিমাচল প্রদেশে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই ৯৫টি ফ্ল্যাশ ফ্লাড, ৪৫টি ক্লাউডবার্স্ট ও ১৩২টি বড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ৩৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, ৪৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩,৭৮৭ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে কাশ্মীর উপত্যকাও টানা বৃষ্টিতে দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ে সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভূমিধস ও ভাঙনের কারণে বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বার্তা স্পষ্ট—পাঞ্জাব সহ উত্তর ভারতের কোনও রাজ্যকেই এই বিপর্যয়ে একা ফেলে রাখা হবে না। রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে ত্রাণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
  • Link to this news (আজকাল)