• ত্রিপুরা পুরনিগম কোষাগার থেকে উধাও ১৬ কোটি! ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ মেয়রের
    প্রতিদিন | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব সংবাদদাতা, আগরতলা: আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কোষাগার থেকে ১৬ কোটি টাকা উধাও। রাজ্যের ইতিহাসে অন্যতম এই বড় কেলেঙ্কারি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, পুরনিগমের একাংশের কর্মী ও ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগসাজশে পুরো ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও মেয়র দীপক মজুমদার জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তদন্ত চলছে। ব্যাঙ্ক এই অর্থ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এর সঙ্গে পুরনিয়মের যোগসাজশের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন মেয়র। জাল চেকের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজধানীর ইউকো ব্যাঙ্কের প্রধান শাখা থেকে এই বিপুল অর্থ অবৈধভাবে তোলা হয়।

    ঘটনাটি সামনে আসে যখন এএমসি কমিশনার ডি.কে. চাকমা ব্যয়ের হিসাব মিলিয়ে দেখার সময় গুরুতর অনিয়ম লক্ষ্য করেন। তিনি অবিলম্বে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। কমিশনারের অভিযোগে বলা হয়েছে, চারটি চেক ব্যবহার করে এই অর্থ তোলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এএমসি কখনোই ওই চেক ইস্যু করেনি। চমকপ্রদ বিষয় হল, প্রতারণামূলক ওই চেকগুলোতে ডি.কে. চাকমা এবং প্রাক্তন ইন-চার্জ কমিশনার পি. সামাদের জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। একসময় নিয়মিত কমিশনার ড. শৈলেশ কুমার যাদব দায়িত্বে না থাকায় সামাদকে ইন-চার্জ কমিশনার হিসেবে রাখা হয়েছিল। তাঁদের নাম ও স্বাক্ষরের অপব্যবহার করে ব্যাঙ্কের কাছে চেক জমা পড়ে।

    অভিযোগের ভিত্তিতে ইউকো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ একটি এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এএমসি-র ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখার সময়ই এই অনিয়ম ধরা পড়ে। জানা গেছে, সুব্রত বণিক নামে ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিস গ্রেড-টু অফিসার এএমসি-র ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসার (ডিডিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও তাঁকে আরও ছয় মাসের জন্য বর্ধিত দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে জিএ, পি অ্যান্ড টি বিভাগে ঝুলে থাকায় বিস্তারিত অডিটের কাজ শুরু হয়। সেই অডিট প্রক্রিয়াতেই ১৬ কোটি টাকার বিশাল প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)