• ঈশিতাকে খুনের পর ছেলেকে পালাতে সাহায্য! কৃষ্ণনগর পুলিশের জালে দেশরাজের বাবা
    প্রতিদিন | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কৃষ্ণনগর-কাণ্ডে ছেলের পর পুলিশের জালে রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিং। আজ, রবিবার রাজস্থান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। ঈশিতা মল্লিককে খুনের পরেই অভিযুক্ত দেশরাজকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন বাবা রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিং। এমনটাই অনুমান পুলিশের। কিন্তু তাঁর গ্রেপ্তারি নিয়ে চলছিল বিতর্ক। ধৃত রঘুবেন্দ্র বিএসএফে কর্মরত। ফলে জেলা পুলিশের হাতে বিএসএফ রাঘবেন্দ্রকে তুলে দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ সামনে আসছিল। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানা শেষে এদিন সকালে রাঘবেন্দ্র সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় মিত কুমার জানিয়েছেন, ”এদিন জয়সলমীরের আদালতে তোলা হয় রঘুবেন্দ্র প্রতাপ সিংকে। এরপরেই আদালতের নির্দেশে কোতয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে।”

    জানা যাচ্ছে, সম্ভবত আজ রবিবার রাতেই রাঘবেন্দ্রকে কৃষ্ণনগর নিয়ে আসতে পারে জেলা পুলিশ। ছেলেকে পালাতে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন, সেই বিষয়ে জানতে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘরে ঢুকে ঈশিতা মল্লিককে খুনের পরেই রহস্যজনকভাবে বেপাত্তা হয়ে যান দেশরাজ। তাঁকে খুঁজে পেতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। শেষমেশ উত্তরপ্রদেশের একটি গোপন ডেরা থেকে দেশরাজকে গ্রেপ্তার করে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ। যদিও তার আগে দেশরাজের মামাকে কুলদীপ সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ঘটনার পর অভিযুক্ত দেশরাজকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পালানোর পথও কুলদীপ ছকে দিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা যায়, কুপদীপকে জেরা করেই দেশরাজের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। আর সেই সূত্র ধরেই উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পুলিশের দাবি, ঘটনার তদন্ত চলাকালীন পেশায় বিএসএফ জওয়ান রাঘবেন্দ্রের নাম উঠে আসে তদন্তকারীদের কাছে। জানা যায়, ঘটনার পরেই দেশরাজ একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। সেই হোটেলের বিল মেটানো থেকে শুরু করে নতুন মোবাইল পর্যন্ত ছেলেকে ধৃত রাঘবেন্দ্র কিনে দিয়েছিলেন। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি তদন্তকারীদের হাতে ইতিমধ্যে এসেছে বলেই খবর।

    এরপর থেকেই পুলিশের স্ক্যানারে ছিলেন রাঘবেন্দ্র। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে রাজস্থান উড়ে যান তদন্তকারীরা। যদিও বিএসএফ তাতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। যদিও সেই জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে পুলিশের জালে রঘুবেন্দ্র। তদন্তকারীদের দাবি, রাঘবেন্দ্রকে জেরা করে তদন্তের আরও গভীরে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)