• ভোররাতে আচমকা থানায় ফোন, হাইওয়ের ওপর পড়ে রয়েছে বিদেশি মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ, তারপর যা হল…
    আজকাল | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার সকালে গুরগাঁওয়ের মানেসর এলাকায় আচমকাই চাঞ্চল্য ছড়াল। জানা গিয়েছে, এলাকায় এক বিদেশি মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। পরিস্থিতি যথেষ্ট সন্দেহজনক। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশেপাশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে এটিকে খুনের মামলা হিসেবে ধার্য করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মানেসরের এসিপি জানিয়েছেন, প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী মৃতা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত হতে পারেন। তবে এখনও তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভোর প্রায় ৬টার সময় পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন আসে যে দিল্লি–জয়পুর হাইওয়ের আইএমটি চক এলাকায় এক মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে।

    জানা গিয়েছে, মহিলার শরীরের উপরের অংশে সামান্য কাপড় থাকলেও কোমরের নীচে কোনও পোশাক ছিল না, ফলে হত্যার আগে যৌন নির্যাতনের সন্দেহ জোরদার হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, মহিলাকে উড়ালপুল থেকে ফেলা হয়েছিল নাকি চলন্ত গাড়ি থেকে নামানো হয়েছিল, তা জানার জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, ফরেনসিক ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পরেই স্পষ্ট হবে ঘটনার আসল চিত্র। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে দিল্লির মেহরৌলিতে এক যুবতীকে নির্মমভাবে খুন করা হয়।

    এহেন খুনের ঘটনা সামনে আসতেই দেখা গিয়েছে, এটি নামকরা বলিউড সিনেমা অভিনেতা অজয় দেবগন অভিনীত 'দৃশ্যম' সিনেমার কাহিনির মতই ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। ঘটনার জেরে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ৪৭ বছর বয়সী শাদাব আলি তাঁর স্ত্রী ফাতিমাকে পরকীয়ার সন্দেহে হত্যা করেন। খুন করে বন্ধুদের সহযোগিতায় তাঁর দেহ মৃতদেহ কবরস্থানে গোপনে দাফন করেন। অভিযুক্ত শাদাব আলি উত্তরপ্রদেশের আমরোহার একজন পেশাদার চিত্রশিল্পী। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি কয়েকদিন ধরে তাঁর স্ত্রী ফাতিমাকে জোর করে কীটনাশক ও ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এতে ফাতিমা আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    অবশেষে ১ আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী'র মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর, শাদাব তাঁর দুই বন্ধু-শাহরুখ খান ও তানভীর- এর সহায়তায় স্ত্রী ফাতিমার মৃতদেহ একটি গাড়িতে করে মেহরৌলির এক কবরস্থানে নিয়ে যান। তারপর সেখানে রাতের অন্ধকারে দাফন করে দেন। ঘটনা গোপন রাখতে শাদাব অত্যন্ত কৌশলে ফাতিমার মোবাইল থেকে নিজের ফোনে একটি বার্তা পাঠান। তাতে লেখা ছিল, 'আমি পালিয়ে গিয়েছি। অন্য একজনকে বিয়ে করতে যাচ্ছি।' একইসঙ্গে তিনি ফাতিমার জামাকাপড় একটি খালে ফেলে দেন যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে।
  • Link to this news (আজকাল)