• ব্যাংকে সোনা রাখার ৬ বছর পর ফেরত আনতে গেলেন অধ্যাপকের স্ত্রী, জানতে পারলেন কিছুই নেই....
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সন্দীপ প্রামাণিক: ব্যাংকে সোনা জমা রেখেছিলেন। সেই সোনা তুলে আনতে গিয়ে মাথায় হাত কলকাতার বাসিন্দা এক অধ্যাপক ও তাঁর স্ত্রীর। ব্যাংক সোজা জানিয়ে দিল, ব্যাংকে থেকে সোনা অনেক আগেই তোলা হয়ে গিয়েছে। আপনাদের সাক্ষর করা কাগজ রয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে আজ ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে গ্রেফতার করল ভবানীপুর থানার পুলিস।

    কী হয়েছিল? শিয়ালদহের বাসিন্দা ইরশাদ আলি মোল্লা পেশায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সাহিত্যের অধ্যাপক। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী সিদ্দিকা খাতুন ২০১৭ সালে ঠিক করে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য স্টেট ব্যাংকের ভবানীপুর শাখা থেকে সোনা বন্দক রেখে লোন নেবেন। সেইমত সিদ্দিকা খাতুন ৫১৭ গ্রাম সোনা রেখে ওই ব্যাংক থেকে ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা লোন নেন।

    মোটা টাকা লোন নিলেও প্রতিমাসে ইএমআইয়ের টাকা চারা শোধ করতেন সময় মতো। ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তারা তাদের সেই লোন পুরোপুরি শোধ করে দেন। এদিকে, লোন শোধ হওয়ার পর ইরশাদ ও সিদ্দিকা ব্যাংকে যান তাদের সোনা ফেরত আনতে। সেইসময় ব্যাংকের ম্যানেজার আফতাব আহমেদ তাদের বলেন, সোনা বাড়িতে কেন রাখবেন, ব্যাংকে রাখন, নিরাপদ থাকবে। আফতাদের কথা মতো ইরশাদ ও সিদ্দিকা তাদের সোনা ব্যাংকেই রেখে দেন।

    এদের ২০২৪ সালে সিদ্দিকা ব্যাংকে যান তার সোনা আনতে। তখনই শুরু হয় গোলমাল। ব্যাংক থেকে বলা হয়,  আপনি ব্যাংক থেকে সোনা তুলে নিয়ে গিয়েছেন। এই দেখুন আপনার সই করা কাগজ। ওই কাগজ দেখে সিদ্দিকা বলেন, সই তাঁর নয়। সেটি নকল। 

    ওই ঘটনার পর সিদ্দিকা ২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর ভবানীপুর থানায় অভিযোগ করেন এসবিআই ও তার স্টাফদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে দীর্ঘ ৮ মাস পর আজ রবিবার এসবিআইয়ের ভবনীপুর ব্রাঞ্চের ডেপুটি ম্যানেজার গৌরচন্দ্র সরদার ও ক্যাশিয়ার অনির্বাণকে গ্রেফতার করে পুলিস। ওই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)