• প্রার্থীই দিতে পারল না বিরোধীরা! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জলকর মথুরাপুর সমবায় নির্বাচনে বড় জয় তৃণমূলের
    প্রতিদিন | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: জলকর মথুরাপুর সমবায় সমিতি নির্বাচনে বড় জয় তৃণমূল কংগ্রেসের। নদিয়া জেলার ভীমপুর থানার অন্তর্গত এই সমবায় সমিতি। সেখানেই ৫৮টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বড় জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। রবিবার তা স্পষ্ট হতেই সবুজ আবির নিয়ে খেলায় মেতে ওঠেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। কৃষ্ণনগর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কার্তিকচন্দ্র ঘোষ বলেন, ”গত ১৯ এবং ২০ আগস্ট মনোনয়নের তারিখ ছিল। ৫৮ জন তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। কিন্তু বিরোধীদের কেউ কোনও মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।” অন্যদিকে এই জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক সুশান্ত মণ্ডল।

    তৃণমূল নেতা বলেন, ”বিরোধী বলে কিছু নেই। থাকলে একজন হলেও প্রার্থী দিতে পারত বিরোধীরা।” তৃণমূল নেতার কথায়, এই জয় আগামিদিনে আরও অক্সিজেন জোগাবে। বিশেষ করে সামনেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জলকর মথুরাপুর সমবায় সমিতিতে শাসকদলের জয়জয়কার কর্মীদের মনোবল যথেষ্ট বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কেন বিজেপি প্রার্থী দিতে পারল না, তা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ভীমপুর পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। সাংগঠনিকভাবে এলাকায় যথেষ্ট মজবুত। এরপরেও সমবায় সমিতিতে একজনকেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা কেন হল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে জয়ী প্রার্থীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক সুশান্ত মণ্ডল, ভীমপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভোলানাথ বিশ্বাস-সহ একাধিক শীর্ষ জেলা নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে কার্তিকচন্দ্র ঘোষ আরও বলেন, ”আমরা বোর্ড সুন্দরভাবে গঠন করব। মানুষ যাতে ভালোভাবে পরিষেবা পান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।” বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই খোদ বিরোধী দলনেতার গড়ে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল।

    বিজেপির হাতে থাকা পঞ্চায়েত এলাকায় ফের সমবায় ভোটে বিপুল জয় পেল শাসকদল তৃণমূল। শনিবার কাঁথি- ১ ব্লকের বাড়চুনফলি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ডেলিগেট নির্বাচন ছিল। মোট ৫৩টি আসনের মধ্যে ৩৮টি আসনই জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি ১৫টি আসন পান। এরপরেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা মধ্যে উচ্ছ্বাস, আবেগে ভেসে যান। সেই আবহে আরও এক সমবায় সমিতি নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূলের।
  • Link to this news (প্রতিদিন)