• প্রৌঢ়কে খুন করে দেহ কুয়োয়! প্রেমিক সহ গ্রেপ্তার তৃতীয় স্ত্রী
    বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ভোপাল: কুয়োয় পড়ে বস্তা ও কম্বলে মোড়া একটি দেহ। দেখতে পেয়েই থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।  সেই রহস্যমৃত্যুর সমাধান করতে গিয়ে সামনে এল বিশ্বাসঘাতকতা, ষড়যন্ত্রের টানটান ‘চিত্রনাট্য’। মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলার এই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড হার মানাবে ক্রাইম থ্রিলারকেও। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম ভাইয়ালাল রজক (৬০)। তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃতীয় স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তৃতীয় স্ত্রী, তার প্রেমিক ও আর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, রজকের ব্যক্তিগত জীবন বেশ জটিল। তিনি তিনটি বিয়ে করেছিলেন। প্রথম স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। এরপর গুড্ডি বাই নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু, তাঁদের কোনও সন্তান হচ্ছিল না। সন্তানের আশায় গুড্ডির ছোট বোন মুন্নি ওরফে বিমলার সঙ্গে সাতপাকে বাধা পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁদের দুই সন্তানও হয়। আপাতভাবে সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু, স্থানীয় জমি-বাড়ির কারবারি নারায়ণ দাস কুশওয়ারার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মুন্নি। একসঙ্গে ঘর বাঁধার পরিকল্পনাও করছিলেন তাঁরা। কিন্তু, রজক থাকায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। এরপরই প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন মুন্নি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রজককে হত্যা করতে ধীরজ কোল নামে এক শ্রমিককে দলে টানে নারায়ণ।

    ৩০ আগস্ট রাতে নির্মীয়মাণ বাড়িতে শুয়ে ছিলেন রজক। সেই সময় নারায়ণ ও ধীরজ লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই রজকের মৃত্যু হয়। এরপরই দেহ বস্তা ও কম্বলে মুড়ে গ্রামেরই একটি কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাচক্রে পরদিন সকালে রজকের দ্বিতীয় স্ত্রী দেখতে পান, কুয়োয় কিছু একটা ভাসছে। পুলিশে খবর পাঠানো হয়। তারা দেহটি উদ্ধার করে। বস্তা, কম্বল সরাতেই স্বামীকে চিনতে পারেন গুড্ডি। তদন্তে নেমে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যমৃত্যুর কিনারা করেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)