স্থায়ী ঠিকানা না থাকা ভোটার ধরাই বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের
বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পাকাপাকি ঠিকানা না থাকা ভোটার রোখাই নির্বাচন কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ। সাম্প্রতিক ফটোগ্রাফ, (ঐচ্ছিক) আধার বা মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভুয়ো ভোটার ধরা যায় কি না, স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছে কমিশন। কিছুদিন সেই ঠিকানায় থাকছে বলে কেউ প্রতিবেশী, পরিজন বা বাড়িওয়ালাকে দিয়ে প্রমাণ দিতে পারলেই হওয়া যায় সেই এলাকার ভোটার। যোগ্যতার বয়স ১৮। থাকতে হবে জন্ম শংসাপত্র। তা সে যেখানকারই হোক। হওয়া যায় জেনারেল ভোটার। এমনকী ল্যাম্পপোস্ট বা বাতিস্তম্ভের নীচেও যদি কেউ কিছুদিন থাকছেন বলে প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলেও হওয়া যায় ভোটার। জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
একজনও ভারতীয় ভোটারেরও যেন ভোটাধিকার থেকে বাদ না যায়। নির্বাচন কমিশনের এই ট্যাগ লাইনেই ভোটার কার্ড দিতে চায় কমিশন। কিন্তু এর জেরে কি দেশজুড়ে ভুয়ো ভোটারের ঝুঁকি নেই? রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচনের আগে ভোটার সংখ্যা আচমকা বেড়ে যায় বলেই রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ। প্রতি বছর রাজ্যে রাজ্যে হয় স্পেশাল সামারি রিভিশন (এসএসআর)। সেখানে নাম অন্তর্ভূক্ত করতে নতুন ভোটারদের দরকার কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স।
সামারি রিভিশনে অর্ডিনারিলি রিসাইডিং আবেদনকারীও আবেদন করতে পারেন। কেউ ঠিকানা বদলের জন্য নতুন ভোটার কার্ডের আবেদন করতেই পারেন। তার জন্য রয়েছে ফর্ম-৮। বাড়িওয়ালা বা প্রতিবেশীর কথায় যদি ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) সন্তুষ্ট হন, তাহলেই ভোটার। এভাবেই ভোটের আগে কোনও কোনও রাজ্যে ‘ফ্লোটিং ভোটার’ হিসেবে নাম নথিভূক্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। যদিও এখনও পর্যন্ত আটকাবার কোনও ফুলপ্রুফ ব্যবস্থা কমিশনের নেই। কারণ, কোনও কেন্দ্রীয় তালিকা নেই। বিধানসভা, লোকসভা, পঞ্চায়েত, পুরসভা ভোটের তালিকাও আলাদা আলাদা। এমত পরিস্থিতিতেই আজ সুপ্রিম কোর্টে বিহারের এসআইআর নিয়ে শুনানি।