ব্রাউন সুগার পাচারের ‘ক্যারিয়ার’ পরিযায়ী শ্রমিক! তদন্তে পুলিশ
বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: ভিনরাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের এখন পাচারের ‘ক্যারিয়ার’ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে মাদক কারবারীরা। সেইসঙ্গে মাদক ‘কারবারের শক্তঘাঁটি’ হিসেবে ফের উঠে এল মালদহ কালিয়াচকের যোগসূত্রও। শনিবার রায়গঞ্জ শহরের এনবিএসটিসি বাসস্ট্যান্ডের কাছে ধৃত মাদক পাচারকারী মহম্মদ রহিম শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই সব চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত পাচ্ছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারের দাবি, শনিবারের মাদক পাচারের ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত বাকি। জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ধৃত যুবক পুলিশকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টাও চালাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সাতাশ বছর বয়সী মহম্মদ রহিম শেখকে ৩৮১ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রবিবার তাকে জেলা আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, তাঁর বাড়ি মালদহের কালিয়াচক থানার অধীন মোজামপুর এলাকায়। ভিনরাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করত সে। মাস দুয়েক হল কালিয়াচকে নিজের বাড়ি ফিরেছে।
সম্প্রতি সে ব্রাউন সুগারের পাচারের কাজে জড়িয়ে পড়ে। ২ থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সে ব্রাউন সুগার পাচারে রাজি হয়। সেইমতো শনিবার সে ব্রাউন সুগারের তিনটি প্যাকেট নিয়ে রায়গঞ্জ শহরে আসে কারও কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে। যদিও কার কাছ থেকে ওই ব্রাউন সুগার সে এনেছে? কার কাছে সেটা পাচার করার উদ্দেশ্যে রায়গঞ্জে এসেছিল? আদৌ সে পরিযায়ী শ্রমিক ছিল কিনা? এরকম বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তথ্যতালাশ হচ্ছে। প্রসঙ্গত মাদক পাচারের ক্ষেত্রে প্রায় সময় মালদহের কালিয়াচকের নাম ভেসে ওঠে। বিগত কয়েকসপ্তাহে মালদহ পুলিশ বেশ কয়েক কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে কালিয়াচকের কয়েকজন বাসিন্দাদের কাছ থেকে।