১৪ সেপ্টেম্বর শুরু গণনা, কুলিকে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বাড়বে, আশা বনদপ্তরের
বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কুলিক পক্ষীনিবাসে এবার পরিযায়ী পাখি গণনা শুরু হচ্ছে ১৪ সেপ্টেম্বর। তার আগে চলতি মরশুমে আসা পরিযায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধির আশায় বুক বাঁধছে রায়গঞ্জ বনবিভাগ। পক্ষীনিবাসের অভিজ্ঞ বনকর্মীদের যুক্তি, এবার বর্ষা শুরুর আগেই ভালো বৃষ্টি হয়েছে রায়গঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায়। যার জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে বিপুল সংখ্যায় পরিযায়ীরা আসতে শুরু করে পক্ষীনিবাসে। বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত রায়গঞ্জ ডিভিশনের বন আধিকারিকরা। এদিকে পাখি গণনা শুরুর আগে বিভিন্ন স্তরে আলাপ আলোচনা শুরু করে দিয়েছে বনদপ্তর। এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পাখি পর্যবেক্ষক দলকে নিয়ে একপ্রস্থ ভার্চুয়াল বৈঠক হয় শনিবার। আশানুরূপ আবহাওয়া, নতুন প্রজাতির পাখি আসা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এবার পাখির সংখ্যা বৃদ্ধির আশা রয়েছে বলে মত রায়গঞ্জের ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মার। তাঁর কথায়, ২০২৩ সালে প্রতিকূল আবহাওয়া ছিল। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে পরিযায়ী পাখিরা এসেছিল। সেবার পক্ষীনিবাস ও তার আশেপাশের গাছে পাখির সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৪১। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ২০২৪ সাল থেকে পাখির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। গত বছর ৯৬ হাজার ৭১৯টি পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে পক্ষীনিবাসে। এবার সেই সংখ্যা এক লক্ষ ছুঁয়ে যাবে বলে আশা। গত বছরের গণনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী রায়গঞ্জ ডিভিশনে শুধুমাত্র ওপেন বিল স্টর্কের সংখ্যাই ছিল ৭১ হাজার ২২টি। এছাড়াও ছিল কর্মর্যান্ট, ইগ্রেটস, নাইট হেরণ প্রজাতির পাখি। ডিএফও বলেন, গত দু’বছর পাখিদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দফায় জ্যান্ত মাছ, শামুক, ও জলাশয়গুলিতে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল পাখিদের জন্য। তার উপর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সংখ্যা বেড়েছে বলে আমাদের প্রাথমিক অনুমান।