আজ খুলছে লাচুং-ইয়ুমথাং-জিরো পয়েন্ট, পুজোর ভ্রমণে হাতের নাগালে উত্তর সিকিম
বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রতীন দাস, জলপাইগুড়ি: পুজোর মুখে পর্যটকদের জন্য জোড়া সুখবর। তিনমাস পর আজ, সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে উত্তর সিকিমের লাচুং, ইয়ুমথাং ও জিরো পয়েন্ট। কিন্তু এখনই খুলছে না লাচেন ও গুরুদংমার লেক। তবে সিকিমে আসা পর্যটকদের জন্য থাকছে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের নয়া ডেস্টিনেশন। নাথু লা শুধু নয়, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত-চীন-ভুটান সীমান্তের যুদ্ধক্ষেত্র ডোকলাম ও চোলা পাস ঘুরে দেখতে পারবেন পর্যটকরা। অন্যদিকে হোটেল ভাড়ায় জিএসটি ছাড়ের ফলে সস্তা হবে ভ্রমণ। তাই পাহাড়-ডুয়ার্সে পর্যটন চাঙ্গা হওয়ার আশা।
ভয়াবহ বন্যা ও ধসের জেরে মে মাসের শেষ থেকে উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়া কার্যত দুঃস্বপ্নের হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিনমাসের মধ্যে উত্তর সিকিমকে সাজিয়ে তুলে পর্যটকদের জন্য ফের খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। তবে কিছু শর্ত মেনে যেতে হবে। রবিবার গ্যাংটকে সিকিমের পর্যটন দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সিএস রাও বলেন, ‘সোমবার থেকে লাচুং, ইয়ুমথাং ও জিরো পয়েন্ট পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে। আগের মতোই অনলাইনে ইস্যু করা হবে ট্যুরিস্ট পারমিট। তবে লাচুং যাওয়ার পথে পর্যটকদের গাড়ি দুপুর একটার মধ্যে সাংকালান সেতু পার করতে হবে। ফেরার পথে দুপুর দু’টোর মধ্যে পার হতে হবে টুং সেতু।’ পুজোর আগে লাচুং, ইয়ুমথাং ও জিরো পয়েন্ট খুলে যাওয়ায় পর্যটকের ঢল নামবে বলে মনে করছেন উত্তরের পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল। পর্যটকের চাপ কমাতে উত্তর সিকিমে দু’রাত-তিনদিনের প্যাকেজ বাধ্যতামূলক হয়েছে।
পুজোর আগে দৈনিক সাড়ে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত হোটেল ভাড়ায় ১২ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে পাঁচ শতাংশ হচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্ত বেশি করে ঘুরতে আসবেন বলে মনে করছেন পাহাড় ও ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর থেকে নয়া জিএসটি লাগু হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে পুজোয় পাহাড়-ডুয়ার্সে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আমরা মনে করছি। পর্যটনকে ‘পরিকাঠামো মর্যাদা’ দিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এতে হোটেল ব্যবসায়ীরা আরও বেশি সরকারি সুবিধা পাবেন। তাঁরা রুম ভাড়া দিতে পারবেন সস্তায়। ফলে পর্যটনে পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে আমরাও টেক্কা দিতে পারব।’ ডুয়ার্সে ইতিমধ্যেই ৬০ শতাংশ পুজোর বুকিং হয়ে গিয়েছে। জিএসটি ছাড়ের ফলে আরও কিছু বুকিংয়ের আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। লাটাগুড়ি হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, ‘হোটেল ভাড়ায় জিএসটি ছাড় পর্যটনকে চাঙ্গা করবে বলে আমাদের আশা।’