নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: বর্ধমানের রসিকপুরের ত্রাস মাহিরুদ্দিন দফাদার ওরফে সোনা। শহরের প্রভাবশালীদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক। সেই কারণেই হয়তো সে কাউকে পরোয়া করত না। এলাকায় একটি গ্যাং তৈরি করে সে। সোনা গ্যাংয়ের টার্গেট থাকত মহিলারা। এমনটাই বলছেন এলাকার বাসিন্দারা। এক মহিলাকে একটি অফিস ঘরে আটকে রেখে সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে সে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। পুলিশ তাকে পাকড়াও করেছে। তার দুই সঙ্গী আলি দফাদার, আজিজুল দফাদারও গ্রেপ্তার হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সোনাদের ভয়ে এলাকায় কারও মুখ খোলার সাহস ছিল না। তার অত্যাচার বেড়েই চলছিল। ওই মহিলার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। তিনি বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে তাঁর আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকত না। ওই মহিলা বলেন, সোনা এবং তার লোকজন তাদের ডেরায় ডেকে পাঠাত। না গেলে অত্যাচার করা হতো। কয়েকদিন আগে অফিসে ডেকে ওই তিনজন যৌন অত্যাচার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বর্ধমান শহরের মধ্যে এভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। ওই মহিলার উপর দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয়েছে। অত্যাচার চরম সীমায় পৌঁছলে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে বাধ্য হন। রসিকপুরে গুণ্ডারাজ চলছে। অন্যায় কাজ করার পরও অনেকেই রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ওই মহিলার উপর যারা অত্যাচার করেছে, তারা কতদিন জেলে বন্দি থাকবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।