নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘটনা ১: সাইকেল চেপে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের রহিম মোল্লা। ভোজেরহাটের কাছে উল্টো দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি লরির হেডলাইটে চোখ ধাঁধিয়ে গেল তাঁর। কোনওমতে সাইকেল থামিয়ে একধারে দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। কয়েক সেকেন্ড একটু অপেক্ষা করে লরিটি চলে যাওয়ার পর আবার যাত্রা শুরু করলেন।
ঘটনা ২: রাত বাড়লে বিভিন্ন সিগন্যাল ছাড়া আলোর দ্বিতীয় কোনও উৎস নেই। ফলে পথচারীদের হাঁটাচলা করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যখন তখন গলি দিয়ে বেরিয়ে পড়ছে কোনও না কোনও গাড়ি। তার জন্যও বিপদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
রাতে বাসন্তী হাইওয়েতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের তিন নম্বর গেটের পর থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত এমনই দৃশ্য দেখা যায়। কারণ এই অংশে কোনও স্ট্রিট লাইট নেই। আছে প্রতি পদে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সব থেকে বেশি চিন্তা সাইকেল ও বাইক নিয়ে। কারণ বড় গাড়ির হেডলাইট এমনভাবে জ্বলে যে সাইকেল বা বাইক চালকদের তাতে খুবই অসুবিধে হয়। গোটা রাস্তা জুড়ে কোথাও বিদ্যুতের পোল আছে, কিন্তু আলো নেই। কোথাও আবার আলো থাকলেও তা বিকল। এনিয়ে কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, আলোর জন্য ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পুলিসের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় আলো নেই, সেখানে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজ শুরু হবে।
এছাড়া যাঁরা চার চাকা নিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন সিগন্যালের মুখে গলি থেকে যেভাবে বাইক বা অন্য গাড়ি বেরিয়ে আসে, তাতে রাতের অন্ধকারে গতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিসের একাংশের দাবি, এই রাস্তার বেশ কিছু অংশ একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেখানে গাড়ির হেডলাইটই একমাত্র ভরসা। এক্ষেত্রে উল্টো দিক থেকে কোনও গাড়ি জোরলো আলো জ্বালিয়ে এগিয়ে এলে সাইকেল, বাইকচালকরা বেকায়দায় পড়ে যান। তবে পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট থাকলে সমস্যা হবে না। নিজস্ব চিত্র